কলকাতা: চলতি মাসেই মেক্সিকোয় (Mexico) একটি প্রদর্শনী হয়েছিল। সেখানে স্বচ্ছ কাচের বাক্সে রাখা হয়েছিল ২টি মমি। তা দেখার পর থেকেই সরগরম গোটা বিশ্ব। কারণ সেই দুটি মমি 'না মানুষের'। মেক্সিকোর সাংবাদিক এবং ভিনগ্রহী (Alien) সংক্রান্ত গবেষক জেমি মসান (Jaime Maussan) প্রদর্শনীতে এনেছিলেন ওই দুটি মমি। তিনি দাবি করেছিলেন, এই দুটি আদতে ভিনগ্রহীদের মমি এবং অত্যন্ত পুরনো। প্রাচীন কোনও কালে পৃথিবীর মাটিতে নেমেছিল এই ২ ভিনগ্রহী, এমন দাবি করেছিলেন। কিন্তু সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছিল একাংশ। এবার মেক্সিকোর চিকিৎসক খুঁটিয়ে দেখলেন সেই ২ মমি। আর তাতেই মিলল বিস্ফোরক তথ্য।
গত সপ্তাহেই ওই দুই 'না মানুষ' মমির পরীক্ষা করেছে Jose de Jesus Zalce Benitez নামে Noor Clinic-এর একজন ফরেন্সিক ডাক্তার। তিনি জানিয়েছেন, ওই মমির Skull অর্থাৎ খুলিতে কোনওরকম কাটাছেঁড়া আগে করা হয়নি। কোনওরকম জোড়াও খুঁজে পাওয়া যায়নি। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, যে দেহ মিলেছে তা আদতে একটিই কঙ্কালের। জেমি মসান (Jaime Maussan) প্রদর্শনীতে যে ২টি কঙ্কাল এনেছিলেন, তাদের খুলি বড় আকারের ছিল, হাতে ৩টি করে আঙুল ছিল। ডাক্তারি পরীক্ষায় মিলেছে আরও একটি বড়সড় তথ্য। ওই দুই মমির মধ্যে একজন নারী- পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে এক মমির দেহের ভিতর ডিম বা ডিমের মতো জিনিসও মিলেছে। তা ঘিরে এখন উঠছে নানা প্রশ্ন।
এর আগে National Autonomous University of Mexico- ওই দুই মমির কার্বন ডেটিং করেছিল, তাতে নাকি দেখা গিয়েছে যে ওই দুই মমি অন্তত ১০০০ বছরের পুরনো।
Noor Clinic-এর চিকিৎসক Benitez জানিয়েছেন, তারা দেখেছেন এক প্রাণী জীবন্ত ছিল, এমনকী অন্তঃসত্ত্বা ছিল। কারণ তার দেহের ভিতরে ডিমের মতো অংশ দেখা গিয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, 'আমি নিশ্চিত এই দেহের সঙ্গে মানুষের কোনওরকম সম্পর্ক নেই।'
মেক্সিকোর সাংবাদিক এবং ভিনগ্রহী সংক্রান্ত গবেষক জেমি মসান (Jaime Maussan) জানিয়েছিলেন, এই দুই মমির দেহ ২০১৭ সালে পেরুতে নাজকা লাইনস (Nazca Lines) এর কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: ভোরের আলো ফুটতে চলেছে চাঁদে, ঘুম ভাঙবে ‘বিক্রমে’র! তৎপরতা ISRO-য়