কলকাতা: এই যুগ যেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (Artificial Intelligence) যুগ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) বা Artificial Intelligence- এর মাধ্যমে চেষ্টা চলছে অসাধ্যসাধনের। গান, আঁকা, লেখা থেকে শুরু করে বিজ্ঞানের কাজ- সর্বত্র ব্যবহার হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তি। দৈনন্দিন কাজ থেকে শুরু করে হিসেবরক্ষা-অফিসের নানা কাজ যেমন হচ্ছে। তেমনই AI-কে চিকিৎসার কাজে নানাভাবে ব্যবহার করার কাজও শুরু হয়েছে। এবার সামনে এল আরও একটি চমকপ্রদ তথ্য।


যেহেতু AI প্রযুক্তি বিপুল বড় তথ্যভাণ্ডার (Data base), আইডেন্টিফাই প্যাটার্ন (Identify Pattern) দ্রুত খতিয়ে দেখে সম্ভাবনার কথা জানাতে পারে। সেই ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বড়সড় লাফ দেওয়া যাবে বলে দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা।


কেন এই দাবি:
বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন,  Artificial Intelligence-এর মাধ্যমে কোনও এক ব্যক্তির হৃদরোগে (Heart Attack) আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে কিনা তার পূর্বাভাস জানা সম্ভব। এক-দুদিন আগে নয়, অন্তত এক দশক আগে এই ঝুঁকির কথা জানা সম্ভব বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। এমনটা হলে সুযোগ থাকতেই সতর্ক হয়ে বাঁচানো যাবে বহু প্রাণ।


একটি গবেষণাপত্রে এমন দাবি করা হয়েছে। British Heart Foundation-এর সাহায্যে হয়েছে এই গবেষণা। অনেক ব্যক্তি বুকে ব্যথায় (Chest Pain) ভোগেন, যাঁরা বোঝেনও না তাঁরা হৃদরোগের (Cardiac Arrest) বিপদে পড়বেন কিনা ফলে চিকিৎসাও করান না। এই AI প্রযুক্তির সাহায্যে সেই বিপদ চেনা সম্ভব বলে জানানো হয়েছে গবেষণাপত্রে। 
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ( University of Oxford)- অধ্যাপক Charalambos Antoniades-এর নেতৃত্বে এই গবেষণা হয়েছে। UK-এর আটটি হাসপাতালে নিয়মিত Cardiac CT Scan- করেন এমন ৪০ হাজার ব্যক্তির তথ্যের উপর গবেষণা করা হয়েছে। প্রায় আড়াই বছর ধরে দেখা হয়েছে তথ্য। দেখা গিয়েছে যাঁদের করোনারি ধমনী সরু তাঁরা যাঁদের এমন সমস্যা নেই তাঁদের তুলনায় হার্ট অ্যাটাকের (এমনকী মৃত্যুও) অন্তত দ্বিগুণ ঝুঁকির মধ্যে থাকেন।


কীভাবে ব্যবহার:
একটি নতুন AI টুল ব্যবহার করা হয়েছে, যেটি ধমনীর প্রদাহ (inflamed arteries) এবং ফ্যাটের (fat) পরিমাণের বদল মাপতে পারে এবং সেই তথ্য বিশ্লেষণ করতে পারে। তার সঙ্গেই ধমনী ক্রমশ সরু হয়ে আসা এবং বাকি বিপদসঙ্কেতও অনুধাবন করতে পারে। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গবেষণা পত্রে জানানো হয়েছে যে ওই বিজ্ঞানীদের দল AI-থেকে পাওয়া ৭৪৪ জন রোগীর Risk Scores চিকিৎসক দলকে জানিয়েছে, তার ভিত্তিতে ওই রোগীদের চিকিৎসা পদ্ধতিতে পরিবর্তন করা হয়েছে। এটি আপাতত পাইলট প্রজেক্ট ছিল। ফলে এটা যদি পুরোমাত্রায় সফল হয় তাহলে হৃদরোগের চিকিৎসা ব্যবস্থায় বিশাল বড় মাপের পরিবর্তন আসবে বলে দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা।


আরও পড়ুন: নয়া সাজে বাজারে আসছে রেনোঁ ডাস্টার! চমকে দেবে নয়া লুক