নয়াদিল্লি: দেখা মিলেছিল গতবছরের শেষ দিকে। পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার আশঙ্কাও ছিল। কিন্তু পৃথিবীর সামনে আর সেই ফাঁড়া নেই বলে জানালেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, 2024YR4 গ্রহাণুটি চাঁদের বুকে আছড়ে পড়তে পারে। আর তেমন ঘটলে, পৃথিবীও বিপদে পড়বে বলে মত তাঁদের। (Science News)
গতবছরের শেষ দিকে 2024YR4 গ্রহাণুটির দেখা পান বিজ্ঞানীরা। সেই অনুযায়ী নামকরণও হয়। গোড়ায় সেটি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বলেই ধারণা জন্মায়। পরে দেখা যায়, আসলে চাঁদের অভিমুখে এগিয়ে যাচ্ছে গ্রহাণুটি। তবে চাঁদের বুকে সেটির আছড়ে পড়ার সম্ভাবনাও ক্ষীণ, মাত্র ৪ শতাংশ। (Asteroid 2024 YR4)
তবে ক্ষীণ হলেও, সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, ২০৩২ সালের ডিসেম্বর মাস নাগাদ চাঁদের বুকে আছড়ে পড়তে পারে 2024YR4 গ্রহাণুটি। চাঁদের মাটিতে সেটি আছড়ে পড়লে আধ মাইল চওড়া গহ্বরের সৃষ্টি হতে পারে। আবার সেখান থেকেও ধ্বংসাবশেষ ছিটকে আসতে পারে মহাকাশে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, গ্রহাণুটি চাঁদের মাটিতে আছড়ে পড়লে, সেখান থেকে মহাকাশে ছিটকে আসবে ধ্বংসাবশেষ। এর ফলে পৃথিবী থেকে বসে মুহুর্মুহু উল্কাবৃষ্টি দেখা যাবে আকাশে, যা বেশ কয়েকদিন ধরে চলবে। কিন্তু ওই ধ্বংসাবশেষের ধাক্কায় মহাকাশে অবস্থিত কৃত্রিম উপগ্রহগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
মহাজগতের অন্য গ্রহাণুর সঙ্গে তুলনা করলে, আকারে তেমন কিছু আহামরি নয় গ্রহাণুটি। ১৭৫ থেকে ২২০ ফুট চওড়া। উচ্চতা ১৫ তলা বিল্ডিংয়ের সমান। কিন্তু গতি অত্যন্ত বেশি। ফলে সজোরে আছড়ে পড়লে ভয়ঙ্কর ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA-র জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ জানিয়েছে, গ্রহাণুটি পাথুরে। গা একেবারে তীক্ষ্ণ।