নয়াদিল্লি: পাকিস্তানের রিমোট সেন্সিং কৃত্রিম উপগ্রহের (স্যাটেলাইট) সফল উৎক্ষেপণ। পাকিস্তানের স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণ করল চিন। পৃথিবীর উপর নজরদারি চালানোর বিশেষ প্রযুক্তি রয়েছে ওই স্যাটেলাইটে। জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত বিপদের উপর নজরদারি চালাতেই মূলত ওই স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণ হয়েছে। (China-Pakistan Relations)

বৃহস্পতি বার চিনের সিচুয়ান প্রদেশের শিচাং স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে সফল উৎক্ষেপণ হয়। স্যাটেলাইটটির নাম রাখা হয়েছে। PRSS01. উৎক্ষেপণের কিছু ক্ষণের মধ্যেই পৃথিবীর কক্ষপথে ঢুকে পড়তে সফল হয় সেটি। স্যাটেলাইটটি একেবারে ঠিকঠাক কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। (Pakistan PRSS01 Satellite)

পাকিস্তানের জন্য় PRSS01 স্যাটেলাইটটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। জলবায়ু পরিবর্তনের দরুণ হঠাৎ হঠাৎ পৃথিবীতে যে বিপর্যয় নেমে আসছে, তার উপর নজরদারি চালানো আরও সহজ হবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। ফলে বিপর্যয়ের মোকাবিলা করা সহজ হবে, সেই অনুযায়ী নগরোন্নয়মূলক প্রকল্পগুলির কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে এবং পরিবেশ সংক্রান্ত খবর সঠিক সময়ে হাতে এসে পৌঁছবে বলে আশাবাদী সকলে।

PRSS01 স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের জন্য চিন ও পাকিস্তান কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছে। প্রযুক্তিগত ভাবে পাকিস্তানকে পূর্ণ সহযোগিতা করেছে চিনের প্রযুক্তি সংস্থাগুলি। স্যাটেলাইটে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ইমেজিং সিস্টেম রয়েছে। এর ফলে অনেক উঁচু থেকেও আবহাওয়া জরিপ করা সম্ভব হবে বলে মত বিজ্ঞানীদের।

এদিন স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণের পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন পাকিস্তান স্পেস অ্যান্ড আপার অ্যাটমোস্ফিয়ার রিসার্চ কমিশন (SUPARCO)-এর আধিকারিকরা। এই সাফল্য পাকিস্তানের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের গতিবৃদ্ধি করবে বলে মত তাঁদের। সময় মতো তথ্য হাতে পেলে বন্যা, ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় সামাল দেওয়া সম্ভব হবে। 

স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে চিন ও পাকিস্তানের এই সহযোগিতাপূর্ণ অবস্থান উপমহাদেশীয় ভূরাজনীতির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সামরিক সহযোগিতা জোগানোর পাশাপাশি, পাকিস্তানকে এই মুহূর্তে মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রেও সাহায্য় করছে চিন। এই নিয়ে চলতি বছরে পাকিস্তানের দ্বিতীয় কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠাল চিন। গত জানুয়ারি মাসে PRSCE01 স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণ করে তারা। গত বছরও পাকিস্তানের একটি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে চিন। ২০১৮ সালে পাকিস্তানের দু’টি স্যাটেলাইটকে পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছে দেয় তারা।