নয়াদিল্লি: 'ওয়েলকাম বাডি' বা সহজ বাংলায় 'স্বাগত বন্ধু'! সোমবার, চন্দ্রযান-৩-এর (Chandrayaan 3 Mission) 'ল্যান্ডার মডিউল'-কে (Lander Module) এভাবেই অভ্যর্থনা জানাল চন্দ্রযান-২-এর 'অরবিটার (Chandrayaan 2 Orbiter)।' চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান-৩-এর সফট ল্যান্ডিংয়ে মেরেকেটে আর দুদিন (নিখুঁত হিসেবে ৪৮ ঘণ্টার কিছু বেশি)। তার আগে, একেবারে ইসরোর (ISRO) পরিকল্পনা মতোই  চন্দ্রযান-২-এর 'অরবিটার'-এর সঙ্গে সংযোগ তৈরি করে ফেলল চন্দ্রযান-৩-এর 'ল্যান্ডার মডিউল'। খোদ ইসরো সোশ্য়াল মিডিয়া হ্যান্ডেল X-এ এই নিয়ে পোস্ট দিয়েছে। 


কী জানাচ্ছে ইসরো?
ইসরোর সোশ্য়াল মিডিয়া পোস্ট অনুযায়ী,  'দু'জনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন হয়ে গিয়েছে। MOX বা Mission Operations Complex-এর কাছে এখন ল্যান্ডার মডিউলের সঙ্গে যোগাযোগের একাধিক পথ রয়েছে।' আগামী ২৩ অগাস্ট, ৬টা বেজে ৪ মিনিটে চন্দ্রযান-৩ কে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফট ল্যান্ডিং করাতে চায় ইসরো। চূড়ান্ত পর্যায়ের লাইভ দেখা যাবে ইসরোর ওয়েবসাইটে। একই সঙ্গে এটি দেখা যাবে  ইসরোর ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক এবং ডিডি ন্যাশনাল টিভি-তে। ঠিক বিকেল ৫টা ২৭ মিনিট থেকে ওই লাইভ শুরু হবে। আপাতত সেই অবতরণের সাফল্যের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে গোটা ভারত। 
গত বার, অর্থাৎ চন্দ্রযান-২ অভিযানের সময় ইসরোর ডিরেক্টর ছিলেন কে শিবন। ওই অভিযানের দায়িত্বও ন্যস্ত ছিল তাঁর হাতে। শেষ মুহূর্তের গোলযোগে সে বার সফট ল্যান্ডিংয়ে ব্যর্থ হয়েছিল ভারত। তার পর কে শিবনের ভেঙে পড়ার মুহূর্ত দেখে বিহ্বল হননি এমন ভারতীয় বিহ্বল। এদিন, যখন চন্দ্রযান-৩ সেই লক্ষ্য ছোয়ার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে, তখন ইসরোর প্রাক্তন ডিরেক্টর বলছেন, 'এই মুহূর্তগুলি ভীষণ উদ্বেগের। বর্তমান অভিযানটি যেন সবরকম ভাবে সফল হয়, প্রার্থনা করি।'



গত কাল অর্থাৎ রবিবার রাশিয়ার 'লুনা-২৫' আছড়ে পড়েছে চাঁদের বুকে। এই নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছিল কে শিবনকে। তাতে তাঁর জবাব ছিল, 'আমাদের নিজস্ব পদ্ধতি রয়েছে। আমরা কোনও সমস্যা ছাড়াই সফট ল্যান্ডিং করতে পারব। কিন্তু প্রক্রিয়াটি নিঃসন্দেহে জটিল।' একই সঙ্গে তিনি জানালেন, চন্দ্রযান-২-এর অভিজ্ঞতা থেকেই এবার এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে যাতে ব্যর্থতার সম্ভাবনা যতটা সম্ভব কমানো যায়। এজন্য অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেই অতিরিক্ত ব্যবস্থাগুলিও দেশেই তৈরি, জানান কে শিবন।






আর যা...
এদিন আরও একটি পোস্ট করেছিল ইসরো। তাতে দেখা যাচ্ছে, সঠিক এলাকায় সঠিক ভাবে অবতরণের জন্য তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে ল্যান্ডার। চাঁদের মাটিতে চারদিকে গর্ত, মাটি অসমান, বন্ধুর। যেখানে সেখানে পড়ে রয়েছে পাথর। চাঁদের মেরু লাগোয়া এলাকার এমনই ছবি প্রকাশ্যে এনেছিল ইসরো। দু'দিন পর এমন একটা এলাকাতেই নামবে চন্দ্রযান-৩। চাঁদের মাটি থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার উপর থেকে উড়ে যাওয়া মহাকাশযানের হ্যাজার্ড ডিটেকশন ক্যামেরার ছবি নিয়ে পরীক্ষা করছেন ইসরো। এমন একটা এলাকায় চন্দ্রযান তিনকে নামানোই আপাতত তাদের সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। 


আরও পড়ুন:কোন কোন রোগে আক্রান্তরা ট্রেন যাত্রায় পেতে পারেন ১০০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়?