নয়াদিল্লি: শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার আগেও মাইলফলক তৈরি করে যায়। ভারতের চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণের একবছর পূর্তি হল আজ। ২০২৩ সালের ১৪ জুলাই চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণ করে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO. পালকের মতো চাঁদের মাটি ছুঁয়ে ইতিহাস রচনা করে ভারত। তবে শুধু পালকের মতো চাঁদের মাটি ছোঁয়াই নয়, ভারতের চন্দ্রযান-৩ অভিযান একাধিক কারণে গুরুত্বপূর্ণ।(Chandrayaan 3 Achievements)


২০২৩ সালের ১৪ জুলাই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানটির উৎক্ষেপণ হয়। দীর্ঘ যাত্রাপথ পেরিয়ে গতবছর ৫ অগাস্ট চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করে সেটি। তবে ইতিহাস রচিত হয় ২৩ অগাস্ট। পালকের মতো চাঁদের দক্ষিণ মেরু ছোঁয় ভারতের চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানের ল্যান্ডার 'বিক্রম'। পালকের মতো চাঁদের মাটি ছোঁয়া চতুর্থ দেশ হিসেবে ইতিহাসে নাম ওঠে ভারতের। চাঁদের দক্ষিণ মেরু ছোঁয়া প্রথম দেশ বলে বিবেচিত হয় ভারত। (Chandrayaan 3 Launch Anniversary)


ল্যান্ডার 'বিক্রম' চাঁদের মাটি ছোঁয়ার পর কাজে নামে রোভার 'প্রজ্ঞান'। চাঁদের মাটিতে শুরু হয় তার পথ চলা। পরবর্তী দুই সপ্তাহে চাঁদের মাটিতে ১০০ মিটার পথ অতিক্রম করে সেটি। চাঁদের মাটিতে একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর পাশাপাশি, পৃথিবীতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠাতে শুরু করে। 
রোভার 'প্রজ্ঞানে'র পাঠানো একাধিক তথ্য মহাকাশ গবেষণার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চাঁদের মাটির মূল উপাদানগুলিকে শনাক্ত করতে সফল হয় সে। চাঁদের মাটিতে সালফারের খোঁজ পায়। 


আরও পড়ুন: Robot Commits Suicide: অফিসের সিঁড়ি থেকে ঝাঁপ, কাজের চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করল এই রোবট...


তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে আবিষ্কারটি করে রোভার 'প্রজ্ঞান', তা হল, চাঁদের মাটিতে জলের অণুর উপস্থিতি। ভবিষ্যতের চন্দ্রাভিযান তো বটেই, আগামী দিনে চাঁদে উপনিবেশ গড়ার যে স্বপ্ন দেখছেন বিজ্ঞানীরা, এই আবিষ্কার সেই কাজের সহায়ক হবে আগামী দিনে। 


চাঁদের ভৌগলিক ইতিহাস সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পৃথিবীতে পাঠিয়েছে চন্দ্রযান-৩। বিশেষ করে চাঁদের দক্ষিণ মেরুরু ভৌগলিক পরিবেশ সম্পর্কে অনেক কিছু জানা গিয়েছে।  চাঁদের মাটিতে শিলার গঠন সম্পর্কেও তথ্য পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।


বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং আবিষ্কার ছাড়াও কোটি কোটি মানুষের স্বপ্নপূরণ করেছে চন্দ্রযান-৩। চাঁদের মাটিতে তার অবতরণের মুহূর্ত সরাসরি চাক্ষুষ করেছেন ১৪০ কোটি ভারতীয়। মহাকাশ গবেষণায় ভারতের যোগ্যতায় সিলমোহর দিয়েছে এই অভিযান।