নয়াদিল্লি: হার্ডল রেসের 'ব্যারিয়ার' পেরোনোর মতো একটার পর একটা পর্ব উতরোচ্ছে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)। ৫ অগাস্ট অর্থাৎ আগামীকাল, ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় আরও একটি পর্যায় পেরোনোর দৌড় (Lunar Orbit Injection) শুরু করতে চলেছে ইসরোর (ISRO) এই মহাকাশযান। তবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এখনও পর্যন্ত সে যা পেরিয়ে এসেছে তাও নেহাত কম নয়। চাঁদ পর্যন্ত দূরত্বের দুই-তৃতীয়াংশ অতিক্রম করে ফেলেছে চন্দ্রযান-৩, ট্যুইটারে ঘোষণা ইসরোর।


নতুন কী?
এই অভিযানের 'ফিনিশ লাইন' চাঁদের দক্ষিণ গোলার্ধে সফল সফট ল্যান্ডিং যা কিনা মোটেও সহজ নয়। তবে কঠিন সেই লক্ষ্যজয়ে এবার আঁটঘাঁট নেমেছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। চাঁদের মাটিতে অবতরণের জন্য এবার 'লুনার অরবিট ইনজেকশন' (LOI) পর্যায় শুরু করবে চন্দ্রযান-৩। এর ফলে চাঁদের অভিকর্ষের আওতায় মধ্যে চলে আসবে এটি। বিজ্ঞানীদের মতে, 'লুনার অরবিট ইনজেকশন' একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়। এই ধাপ সফলভাবে উত্তীর্ণ করতে পারলে চাঁদের কক্ষপথের মধ্যে সঠিক দিশায় নিজেকে স্থাপন করতে পারবে চন্দ্রযান-৩। কিন্তু প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত জটিল, নিখুঁত অঙ্কের উপর নির্ভর করছে।





সাধারণত কেমিক্যাল রকেট ইঞ্জিন জ্বালানোর ফলে যে শক্তি নির্গত হবে, সেটির চন্দ্রযান-৩-এর ভেলোসিটি বাড়াতে সাহায্য করার কথা। এই বর্ধিত ভেলোসিটি-ই যানটিকে নতুন কক্ষপথে যেতে সাহায্য করবে। সব ঠিকঠাক হলে এর পর শুরু হবে ল্যান্ডারের আলাদা হয়ে যাওয়ার পর্ব। তার পর ধীরে ধীরে অবতরণের পথে এগোবে চন্দ্রযান-৩। গোটাটাই বেশ কঠিন। তবে এর মধ্যে যে পথটা চন্দ্রযান-৩ অতিক্রম করে এসেছে, তা বিশাল। অঙ্কের হিসেবে, প্রায় ২.৬ লক্ষ কিলোমিটার পেরিয়ে এসেছে এটি।  


এর পর কী?
এর পর মোট চার বার চাঁদকে প্রদক্ষিণ করবে চন্দ্রযান -৩ মহাকাশযান। প্রত্যেক বার পাক খেতে খেতে চাঁদের মাটির কাছাকাছি পৌঁছবে সেটি। কারণ সরাসরি চাঁদের বুকে পদক্ষেপ সম্ভব নয়। আগামী ২৩ অগাস্ট চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানকে চাঁদের বুকে নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে ISRO-র। কিন্তু আপাতত সব নজর রয়েছে এই লুনার অরবিট ইনজেকশনের দিকে। আগামীকাল, ভারতীয় সময় ঠিক সন্ধ্যা ৭টায় বোঝা যাবে এই 'হার্ডল'-ও পেরোতে পারল কিনা চন্দ্রযান-৩। 


আরও পড়ুন:'মোদি পদবি' মামলায় সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি রাহুলের, ফিরছে সাংসদ পদও