নয়াদিল্লি: বুধবার সন্ধেয় চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটি ছুঁয়েছে চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3)। ওই দিন সন্ধে ৬ টা বেজে ৪ মিনিটে চাঁদের মাটিতে নামে ল্যান্ডার 'বিক্রম'। তারও প্রায় ঘণ্টা তিনেক পরে চাঁদের মাটিতে নামে রোভার 'প্রজ্ঞান'। কিন্তু চাঁদের মাটিতে চাকা গড়ানোর ঠিক আগে কেমন ছিল প্রস্তুতি? সেটাই X -প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করল ISRO.
ল্যান্ডার থেকে রোভার প্রজ্ঞান (Rover Pragyan) নেমেছে একটি ব়্যাম্পের সাহায্যে। মেট্রো স্টেশনে, কোনও শপিং মলে অনেকটা এমন ধরনের ব়্যাম্প আমরা দেখতে পাই। প্রায় ওই রকমই দেখতে কিন্তু আরও আধুনিক এবং সূক্ষ প্রযুক্তি নির্ভর ব়্যাম্প (Ramp) ব্যবহার হয়েছে রোভারটিকে নামাতে।
ওই ব়্যাম্পটি ২টি সেগমেন্টের,আগে সেটি ল্যান্ডার বিক্রম থেকে নেমে চাঁদের মাটি ছোঁয়। তারপর সেটা বেয়ে নেমে আসে রোভার প্রজ্ঞান। তারপরেই একটি সোলার প্যানেল খুলে যায়, এটি লাগানো রয়েছে রোভার প্রজ্ঞানের গায়ে। এই সোলার প্যানেলের মাধ্যমেই শক্তি জোগাড় করবে প্রজ্ঞান। তারপরেই ধীরে ধীরে চাঁদের মাটিতে চাকা গড়ায় প্রজ্ঞানের।
ওই গোটা প্রক্রিয়ার জন্য় ব়্যাম্প এবং বাকি যাবতীয় যন্ত্রপাতি তৈরি করা হয়েছে বেঙ্গালুরুতে ইসরোর (ISRO) ইউ আর রাও স্যাটেলাইট সেন্টার (U R Rao Satellite Centre). ইসরো জানিয়েছে ঠিকমতো কাজ করছে বিক্রম ও প্রজ্ঞানের থাকা সবকটি পে-লোড।
ল্যান্ডারের চাকায় খোদাই করা ছিল অশোক স্তম্ভ ও ইসরোর (ISRO) লোগো। চাঁদের মাটিতে নামার সঙ্গে সঙ্গেই সেই ছবি আঁকা হয়ে যায় চাঁদের (Moon Mission) বুকে। বুধবার থেকেই শুরু হয়েছে চন্দ্রদিন। অর্থাৎ চাঁদের দিন। ওই সময় চাঁদের ওই প্রান্তে থাকবে সূর্যের আলো। সেই আলোকে কাজে লাগিয়ে পৃথিবীর হিসেবে মাত্র ১৪ দিন যা চাঁদের নিরিখে এক চন্দ্রদিন কাজ করবে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3)। এর পরেই চাঁদে নামবে ১৪ দিনের রাত।
রোভার সংক্রান্ত সব কাজকর্মই পূর্ব পরিকল্পনা মতো চলছে বলে জানিয়েছে ISRO. ২৫ অগাস্ট সন্ধে ৬ট ১৯মিনিটে ISRO- X প্ল্যাটফর্মে জানিয়েছে যে এখনও পর্যন্ত রোভার প্রজ্ঞান চন্দ্রপৃষ্ঠে ৮ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছে। সব পে-লোড ঠিকমতো কাজ করছে। প্রোপালশন মডিউল, ল্যান্ডার মডিউল এবং রোভার মডিউলে থাকা সব পে-লোড ঠিকমতো কাজ করছে।
আরও পড়ুন: 'আমি নজর রাখছি' কক্ষপথ থেকে ল্যান্ডারকে বার্তা অরবিটারের