নয়াদিল্লি: কৃত্রিম উপগ্রহের সফল উৎক্ষেপণ হয়েছিল এক সপ্তাহ আগে।চিনা রকেটের অংশ বিশেষ পৃথিবীতে আছড়ে পড়া নিয়েই এই মুহূর্তে শোরগোল। একেবারে লোকালয়ে ভেঙে পড়েছে সেটি। মাটিতে আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ ঘটেছে। সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সেই মুহূর্তের ভিডিও। (Chinese Rocket Stage Crashes)

Continues below advertisement

চিনের চিংহাই প্রদেশের গুইনান কাউন্টিতে ভেঙে পড়ে রকেটের অংশ বিশেষ। সেটি Long March 2D রকেটের স্টেজ বলে জানা গিয়েছে। গত ১৩ অক্টোবর Shiyan-31 কৃত্রিম উপগ্রহটিকে ওই রকেটে চাপিয়েই উৎক্ষেপণ করা হয়। (China News)

চিনের উত্তর-পশ্চিমের Jiuquan Satellite Launch Centre থেকে Shiyan-31 কৃত্রিম উপগ্রহের উৎক্ষেপণ হয়। সফল ভাবে কক্ষপথে মোতায়েন করা হয় কৃত্রিম উপগ্রহটিকে। কিন্তু নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় রকেটের ফার্স্ট স্টেজটি পৃথিবীতে আছড়ে পড়ে। মাটিতে আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তীব্র বিস্ফোরণ ঘটে। বিষাক্ত গ্যাসও ছড়িয়ে পড়ে বলে খবর। 

Continues below advertisement

Long March 2D রকেটটি একটি দ্বিস্তরীয় রকেট। পৃথিবীর কক্ষপথের নিম্নভাগে মোতায়েনের জন্য এই রকেটই সাধারণত ব্যবহার করে চিন। গত ১৩ অক্টোবর Long March সিরিজের ৫৯৯তম উৎক্ষেপণ হয়। China Aerospace Science And Technology Corporation জানিয়েছে, অপটিক্যাল ইমেজিং টেকনোলজি পরীক্ষা করে দেখতেই ওই কৃত্রিম উপগ্রহের উৎক্ষেপণ হয়।

যদিও ওই উৎক্ষেপণ ঘিরে জল্পনার শেষ নেই। সাধারণত সরকারি ভাবে ঘোষণার পরই রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়। কিন্তু Shiyan-31 কৃত্রিম উপগ্রহের ক্ষেত্রে গোটা বিষয়টিই গোপনে সম্পন্ন হয়। কেন এই রাখঢাক, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, উৎক্ষেপণের পর রকেটের স্টেজটি অনিয়ন্ত্রিত ভাবে পৃথিবীতে আছড়ে পড়ে। বহু দূর থেকে আগুনের গোলা ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী চোখে পড়ছিল। বিষাক্ত গ্যাসও বেরোয় বলে জানা যায়।

স্থানীয়রা যে ভিডিও পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়, তা দেখে শিউড়ে উঠেছেন সকলে। এই ঘটনায় কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা জানা যায়নি। তবে এমন ঘটনা এই প্রথম ঘটল না চিনে। মহাকাশ অভিযানের পদ্ধতি নিয়ে বার বার প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয়েছে চিনকে। এর আগেও তিব্বত এবং দেশের পশ্চিমাংশে রকেটের স্টেজ আছড়ে পড়েছে।

Long March 2D-র যদিও যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। তাই এমন ঘটনায় বিস্মিত সকলে. Shiyan-31 অভিযান সফল হলেও, রকেটের স্টেজ আছড়ে পড়ায় আবারও মহাকাশ-আবর্জনা থেকে পৃথিবীবাসীর নিরাপত্তা ও পরিবেশের সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।