নয়াদিল্লি : চাঁদ নিয়ে আমাদের ফ্যান্টাসির শেষ নেই । শিশুর কল্পনা থেকে কবির কাব্য, চাঁদের আলোর মায়া রয়েছে ছড়িয়ে । কিন্তু চাঁদেরও যে দোসর থাকতে পারে ভেবেছেন কখনও? মহাকাশবিজ্ঞানীদেস নজরে এল পৃথিবীর আরেক চাঁদ !! না, সে চাঁদের মতো পৃথিবীর উপগ্রহ নয় বটে। কিন্তু সেও প্রদক্ষিণ করে পৃথিবীকে। তবে চাঁদের মতো গতিবিধি তা নয়। আছে বড় ফরাক। একে তাই বিজ্ঞানীরা বলছেন 'কোয়াসি মুন' বা আধা-চাঁদ।
মহাকাশ সম্পর্কে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। নতুন গবেষণায় পৃথিবী জানতে পারল একটি নতুন চাঁদের কথা। বিজ্ঞানীদের ভাষায় একটি অর্ধেক চাঁদ, যাকে বলা হয় স্পেস রক। বলা হচ্ছে, এটি পৃথিবী এবং সূর্য উভয়ের চারদিকে ঘোরে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটি সূর্যের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে ঘোরে। সূর্যকে পরিক্রমা করতে করতে এটি পৃথিবীকেও প্রদক্ষিণ করে ফেলে। ছবি দেখলে বুঝতো পারবেন, ঠিক কীভাবে সূর্য ও পৃথিবী উভয়কেই পরিক্রমা করে এটি।
৩৭০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করবে এই চাঁদ
একে বিজ্ঞানীরা বলছেন গ্রহাণু। বিজ্ঞানীরা বলছেন, আগামী ১৫০০ বছর ধরে এই আধা-চাঁদ বা গ্রহাণু, পৃথিবীর চারপাশে ঘুরতে থাকবে। মানে প্রায় ৩৭০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। এখন প্রশ্ন, এর পর কী হবে। বিজ্ঞানীরা আশ্বাস দিয়ে বলছেন, এর পর এই আধা-চাঁদ পৃথিবীর কক্ষপথ ছেড়ে চলে যাবে । তার ফলে পৃথিবীর কোনও বিপদ হবে না।
কীভাবে নজরে এল এই কোয়াসি-মুন ?
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা হাওয়াইতে প্যান-স্টারস টেলিস্কোপের সাহায্যে এই চাঁদটি আবিষ্কার করেছেন। এর নাম দেওয়া হয়েছে 2023 FW13। বিজ্ঞানীদের মতে, এটি ২১০০ বছর ধরে পৃথিবীর চারপাশে বিরাজ করছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই চাঁদ সূর্যের চারদিকে ঘুরতে পৃথিবীর সমান সময় নেয় অর্থাৎ ৩৬৫ দিন।
কেন একে অর্ধচন্দ্র বলছেন বিজ্ঞানীরা?
FW13 তো চাঁদ নয়। তবুও বিজ্ঞানীরা কেন একে অর্ধচন্দ্র বলছেন? আসলে এর পেছনে একটা কারণ আছে। এই FW13 চাঁদ পৃথিবীর পরিবর্তে সূর্যের মাধ্যাকর্ষণ দ্বারা আকর্ষিত এবং এটি পৃথিবীর সঙ্গে সূর্যকেও প্রদক্ষিণ করে, তাই একে বলা হয় কোয়াসি অর্থাৎ অর্ধ চাঁদ। অন্যদিকে, আসল চাঁদ সম্পূর্ণরূপে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের টানে ঘুরে চলেছে।