নয়াদিল্লি: মহাকাশে উপনিবেশ গড়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকায় রয়েছেন। সেই আবহেই মঙ্গলগ্রহ অভিযান নিয়ে বড় ঘোষণা ধনকুবের ইলন মাস্কের। মাস্ক জানালেন, তাঁর সংস্থা SpaceX আগামী দু'বছরের মধ্যে মঙ্গল অভিযানে মহাকাশযান পাঠাতে চলেছে।  মঙ্গলের বুকে অবতরণ করার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখাই লক্ষ্য এই অভিযানের। সব ঠিক থাকলে, এই অভিযানের পরই মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর কাজে হাত দেবে SpaceX. (SpaceX Mission Mars)


সোশ্যাল মিডিয়ায় মঙ্গলগ্রহ অভিযানের ঘোষণা করেছেন মাস্ক। তিনি জানিয়েছেন, আগামী দু'বছরের মধ্যে মঙ্গলগ্রহের উদ্দেশে প্রথম Starship পাঠানো হবে। নির্দিষ্ট বাবে দিনক্ষণ না জানালেও, দু'বছরের সময়সীমার কথা জানিয়েছেন মাস্ক। কারণ ওই সময়ই Earth-Mars Launch Window খুলে যায়। প্রতি ২৬ মাস অন্তর এই Earth-Mars Launch Window খোলে।  কারণ মঙ্গলগ্রহ সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে ৬৮৭ দিনে। পৃথিবী ৩৬৫ দিন সময় নেয়। ফলে সাধারণ অবস্থায় পৃথিবী থেকে মঙ্গলগ্রহে পৌঁছতে সময় লাগে সাত থেকে ন'মাস। (Elon Musk)


কক্ষ পথে ঘুরতে ঘুরতে প্রতি ২৬ মাস অন্তর কাছাকাছি অবস্থানে এসে পড়ে পৃথিবী এবং মঙ্গল। কম শক্তি খরচ করে সেই সময় Hofmann Transfer Orbit ধরে সবচেয়ে কম সময়ে মঙ্গলে পৌঁছনো সম্ভব। তবে কম সময়ে মঙ্গে পৌঁছনোর ওই সুযোগ কখনও কয়েক সেকেন্ড, কখনও কয়েক মিনিট, আবার কখনও কয়েক দিন বা সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে।  একটু এদিক ওদিক হলে মহাকাশযান হয়ত মঙ্গলের কক্ষপথে পৌঁছে যাবে, কিন্তু সেখানে মঙ্গলকে পাবে না। সব ঠিক থাকলে কোনও সমস্যা ছাড়াই লক্ষ্যে পৌঁছনো সম্ভব।


২০২৬ সালের ডিসেম্বর মাসে সরাসরি মঙ্গলে পৌঁছনোর ওই সুযোগ পাওয়ার কথা। ওই সময়েই মঙ্গল অভিযানের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে SpaceX. মাস্ক জানিয়েছেন, কোনও নভোশ্চরকে প্রথমেই মঙ্গলে পাঠানো হবে না। ওই অভিযান ঠিকঠাক ভাবে সম্পন্ন হলে, চার বছরের মাথায় মানুষ পাঠানো হবে মঙ্গলগ্রহে। আগামী ২০ বছরে মঙ্গলগ্রহে স্বনির্ভর শহর গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন মাস্ক।


মঙ্গলগ্রহ অভিযান নিয়ে মাস্ক জানিয়েছেন, পুনরায় ব্যবহারের যোগ্য রকেটই এক্ষেত্রে ব্যবহার করবে SpaceX. এতে মঙ্গলগ্রহে পেলোড পাঠানোর খরচ প্রতি টন ওজনে ১০০ কোটি ডলার থেকে কমে ১ লক্ষ ডলারে নেমে আসবে। যে পরিমাণ টাকা বাঁচবে, তা মঙ্গলের বুকে শহর গড়ার কাজে ব্যবহার করবেন তিনি। চলতি বছরের শুরুতেই সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট উৎক্ষেপণ করে SpaceX. পুনরায় ব্যবহারের যোগ্য ওই রকেট আবারও ফিরে আসবে পৃথিবীতে।