নয়াদিল্লি: একাকীত্ব ঘুচতে চলেছে ভারতের চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানের। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে শীঘ্রই বন্ধুকে পাশে পেতে চলেছে সে। কারণ ধনকুবের ইলন মাস্কের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা SpaceX নিজের চন্দ্রযানের সফল উৎক্ষেপণ করল। বৃহস্পতিবার আমেরিকার ফ্লোরিডা থেকে উৎক্ষেপণ হয় SpaceX-এর চন্দ্রযান Intuitive Machine's Nova-C Lander-এর। SpaceX বেসরকারি সংস্থা হলেও, প্রায় ৫০ বছর পর চাঁদের মাটি ছুঁতে চলেছে আমেরিকার মহাকাশযান। আর এই প্রথম কোনও বেসরকারি সংস্থার মহাকাশযান চাঁদের মাটি ছোঁবে। (Nova-C Lander)


মাস্কের সংস্থার Nova-C ল্যান্ডারটির ডাক নাম দেওয়া হয়েছে ওডিসাস (Odysseus)। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA-র ছ'টি পেলোড রয়েছে। চাঁদের পরিবেশ সক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করবে তাতে বসানো NASA-র যন্ত্রপাতি। সেই সব তথ্যের উপর নির্ভর করে আবারও চাঁদের বুকে মানুষ পাঠানোর কাজে হাত দেবে NASA. এই নিয়ে দ্বিতীয় বার কোনও বেসরকারি সংস্থার মহাকাশযানকে চাঁদের বুকে অবতরণ করানোর কাজে যুক্ত হল NASA. (SpaceX Moon Lander)


মঙ্গলবারই Falcon-9 রকেটে চাপিয়ে Nova-C ল্যান্ডারটি উৎক্ষেপণের কথা ছিল। পরে সময় পিছিয়ে বুধবার করা হয়। কিন্তু ল্যান্ডারের প্রোপালসন সিস্টেমে থাকা তরল মিথেনের তাপমাত্রার ওঠাপড়া চোখে পড়ে। তাই প্রথমে সেই সমস্যার সমাধানে হাত দেয় SpaceX. এর পর বৃহস্পতিবার ভোর ভোর NASA-র কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে সেটির উৎক্ষেপণ হয়। 



আরও পড়ুন: Water on Asteroids: জল পাওয়া গেল দুই গ্রহাণুতে, পৃথিবীতে প্রাণসৃষ্টির রহস্য কি ঘুচল?


সব ঠিক থাকলে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে Nova-C. চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে Malapert A অবস্থানে অবতরণ করবে সেটি, যা Malapert গহ্বর সংলগ্ন উপগ্রহ অবতরণের জায়গা হিয়েবে চিহ্নিত। ৬৯ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে এর বিস্তার। চাঁদের দক্ষিণ মেরুবিন্দু থেকে ওই জায়গার দূরত্ব ৩০০ কিলোমিটার। 


এখনও পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, আগামী দিনে চাঁদের বুকে মহাকাশ অভিযানের সহায়ক পরিবেশ গড়ে তুলতে এবং মানুষের প্রাণধারণের উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলতেই এই Nova-C অভিযান। চাঁদের বুকে বেসরকারি সংস্থাগুলির মহাকাশযান পাঠাতে বিশেষ ভাবে উদ্যোগী NASA. কারণ আর্টেমিস প্রকল্পের আওতায় চাঁদে ফের মানুষ পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু করেছে তারা। তার আগে যত তথ্য পাওয়া যায়, ততই ভাল।


এর আগে, বেসরকারি সংস্থা অ্যাস্ট্রোবটিকের Peregrine Lander-এর উৎক্ষেপণেও যুক্ত ছিল NASA. কিন্তু পালকের মতো চাঁদের মাটি ছোঁয়ার লক্ষ্যে  ব্যর্থ হয় সেটি। উড়ানের পর পরই জ্বালানি চুঁইয়ে পড়তে থাকে। পৃথিবীতেই পড়ে ভেঙে পড়ে সেটি।