নয়াদিল্লি: মঙ্গল গ্রহের বুকে এবার নয়া আবিষ্কার। একেবারে কাছ থেকে, আরও স্পষ্ট ছবি তোলা গিয়েছে লালগ্রহের। আর তাতেই আমেরিকার গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের মতো গভীর গিরিখাত চোখে পড়েছে। ওই গিরিখাতের পাশে ডোরাকাটা দাগও চোখে পড়েছে, যা লাভা উদগীরণের ক্ষতচিহ্ন বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। (Scar on Mars)


ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি মঙ্গলের মাটিতে এই গভীর গিরিখাতের অবিষ্কার করেছে। মঙ্গলের উপর নজরদারি চালানো তাদের কৃত্রিম উপগ্রহ Mars Express ওই ছবি তুলেছে। একটি আগ্নেয়গিরির পাদদেশে ওই গিরিখাতটি চোখে পড়েছে। গিরিখাতটি প্রায় ৬০০ কিলোমিটার লম্বা বলে জানা গিয়েছে, তার নাম Aganippe Fossa. (Science News)


বিজ্ঞানীদের মতে ওই মঙ্গলের বুকে ওই দীর্ঘ ক্ষতটি আসলে গভীর খাদ। খাড়া ঢাল নেমে এসেছে দুই দিক থেকে। মঙ্গলের বুকে এখনও পর্যন্ত যতগুলি আগ্নেয়গিরি আবিষ্কার করা গিয়েছে, তার মধ্যে বৃহত্তম হল Arsia Mons. সেটি Tharsis অঞ্চলে অবস্থিত, যেখানে আরও অনেক আগ্নেয়গিরি রয়েছে। ওই Arsia Mons আগ্নেয়গিরির পাদদেশেই অবস্থিত গিরিখাতটি। 




ছবি: ESA.


Arsia Mons আগ্নেয়গিরিটি ব্যাস ৪৩৫ কিলোমিটার, উচ্চতা প্রায় ৯ কিলোমিটার। বিজ্ঞানীদের মতে অগ্ন্যুৎপাতপ্রবণ Tharsis অঞ্চলে মাটির নীচ থেকে প্রায়শই ম্যাগমা, লাভার উদগীরণ হতো। সেই কারণেই মঙ্গলের মাটি এত পুরু এবং ফাটলে ভর্তি। Mars Express কৃত্রিম উপগ্রহটির হাই রেজলিউশন যুক্ত স্টিরিও ক্যামেরা মঙ্গলের বুকে গিরিখাতটির ছবি তুলেছে। ছবিতে Arsia Mons আগ্নেয়গিরির মাথার অংশ গোলাকার বলে দেখা গিয়েছে। লক্ষ লক্ষ বছর আগে আগ্নেয়গিরিটি যখন সক্রিয় ছিল, সেখানে লাভার স্রোত বইত বলে মত বিজ্ঞানীদের।  


আরও পড়ুন: Baba Vanga Predictions: মঙ্গলগ্রহে যুদ্ধ, ভিনগ্রহীদের সঙ্গে যোগাযোগ, বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণীতে আর যা যা...


পাশাপাশি, মঙ্গলের বুকে Olympus Mons নামের সর্বোচ্চ একটি আগ্নেয়গিরির খোঁজও পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সেটি সৌরজগতের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছেন তাঁরা। সেটির উচ্চতা প্রায় ২১.৯ কিলোমিটার। আজ থেকে ২.৫ কোটি বছর আগে শেষ বার ওই আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত ঘটেছিল বলে জানা গিয়েছে। সেটি মঙ্গলের বুকে অবস্থিত সর্বকনিষ্ঠ আগ্নেয়গিরিও। 


ওই গিরিখাত নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির এক আধিকারিক জানান, এখনও পর্যন্ত গিরিখাতটির উৎস কী থেকে জানা যায়নি। তবে যতদূর মনে হয়, অগ্ন্যুৎপাতের ফলে মাটি ঠেলে ম্যাগমা উঠে আসায় ফাটল ধরে। সেই থেকেই সৃষ্টি গিরিখাতটির।