কলকাতা: গানে-গল্পে-উপন্যাসে যে চাঁদের সৌন্দর্যের কথা শত সহস্র বার উঠে এসেছে, এ কি সেই? চন্দ্রযান-৩-এর (Chandrayaan 3) Lander Imager Camera 4-য় তোলা যে ছবি মঙ্গলবার সন্ধেয় ইসরো (ISRO) পোস্ট করল, তা দেখে এই প্রশ্ন আরও জোরাল হতে বাধ্য। কারণ, অসমান, রুক্ষ্ম, এবড়ো-খেবড়ো সেই জমির সঙ্গে কল্পনার চাঁদের মিল খুঁজে পাওয়া কঠিন। একনজর দেখলে বরং অজানার শিহরণ জাগবে। ছবিটা অবশ্য আজকের নয়। গত ২০ অগাস্ট তুলেছিল Lander Imager Camera 4। আজ তা X হ্যান্ডেলে পোস্ট করে ইসরো। 


কী দেখা যাচ্ছে?
অবতরণের মাহেন্দ্রক্ষণ যত কাছে আসছে, তত উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে বিজ্ঞানীদের। এখনও পর্যন্ত অবশ্য় সমস্ত হিসেব-নিকেশ একেবারে নিখুঁত ভাবে মিলিয়ে এগিয়েছে চন্দ্রযান-৩। কিন্তু অবতরণের শেষ ২০ মিনিটে সব কিছু এদিক ওদিক হয়ে যেতে পারে, এটাও জানা। সুতরাং সাবধানের মার নেই। এমন পরিস্থিতিতে চন্দ্রপৃষ্ঠের দুরন্ত সব ছবি প্রকাশ করছে ইসরো। মঙ্গল-সন্ধ্যায় একটি ভিডিও পোস্ট করে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। তাতে দেখা যাচ্ছে, ধূসর, এবড়োখেবড়ো জমির এদিক-ওদিক জুড়ে শুধুই গর্ত। কোথাও কোনও মসৃণতার চিহ্ন নেই। সব মিলিয়ে কঠিন পরিবেশ। গানে-গল্পে-রূপকথায় যে চাঁদের কথা সেই আদ্দিকাল থেকে আমরা শুনে এসেছি, তার সঙ্গে এই ছবির মিল পাওয়া কঠিন। বরং হলিউডি সাই-ফাই ছবিগুলিতে কোনও অচেনা-অজানা গ্রহকে যে ভাবে রহস্য-রোমাঞ্চে ভরপুর করে তুলে ধরা হয়, ওই রকমই মনে হচ্ছে চাঁদকে। একনজর দেখলে শিহরণ জাগে।






আরও যা...
গত কাল ইসরোর তরফে এক বিজ্ঞানী জানিয়েছিলেন, পরিস্থিতি অনুকুল না হলে, পিছিয়ে যেতে পারে অবতরণ। তবে বুধবার ইসরো জানায়, এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে, বুধবার পূর্ব নির্ধারিত সময়েই চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করানো হবে চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানকে। এই নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ট্যুইটারে (অধুনা X) একটি বিবৃতি প্রকাশ করে ISRO. তাতে বলা হয়, 'চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযান অভিযান: নির্ধারিত সময় অনুযায়ীই এগোবে। লাগাতার প্রযুক্তি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত সবকিছু মসৃণ গতিতেই এগোচ্ছে। মিশন অপারেশনস কমপ্লেক্স (MOX) উত্তেজনায় এবং উৎসাহে ফুটছে। ২৩ অগাস্ট বিকেল ৫টা বেজে ২০ মিনিট থেকে সরাসরি সম্প্রচার শুরু হবে'। মাটি ছোঁয়ার আগে ল্যান্ডার 'বিক্রম' চন্দ্রপৃষ্ঠের একগুচ্ছ ছবি তুলেছে। এদিন দুপুরেই সেগুলি পর পর সাজিয়ে ভিডিও-র আকারে এদিন প্রকাশ করেছিল ISRO.  চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরত্বে, ল্যান্ডার পোজিশন ডিটেকশন ক্যামেরা থেকে সেগুলি তোলা হয়েছে ১৯ অগাস্ট। এখনও পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক ভাবেই এগোচ্ছে বলে জানিয়েছে ISRO.  কোথাও কোনও সমস্যা নেই। তবে সন্ধের দিকে যে ভিডিও আসে, তা দেখে 'চন্দ্র-কল্পনা' ধাক্কা খেয়েছে অনেকেরই।


আরও পড়ুন:অশ্লীল ভাষায় কবিতা, দিন-রাত দৌরাত্ম্য! আবাসিকদের একাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ স্থানীয়দের