নয়াদিল্লি: নির্দিষ্ট বয়সের বালাই নেই আর। হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অল্পবয়সিরাও। এর জন্য ধূমপানের অভ্যাসকেও দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু দিনে কতগুলি সিগারেট খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে? সেই নিয়ে এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য় উঠে এল গবেষণায়। (Medical Science News)

Continues below advertisement

PLOS Medicine জার্নালে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে, যে গবেষণার নেতৃত্বে দেয় Johns Hopkins Ciccarone Centre for Prevention of Cardiovascular Disease in Baltimore. বিগত দুই দশকের মেডিক্যাল রেকর্ড দেখে, ৩ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্ট খতিয়ে দেখে এবং ২২টি পৃথক গবেষণা ঘেঁটে নতুন তথ্য উঠে এসেছে। (Science News)

এই গবেষণায় নেতৃত্ব দেন কার্ডিওলজি এবং এপিডেমোলজির অধ্যাপক মাইকেল ব্লেহা। ১ লক্ষ ২৫ হাজার মৃত্যু ও ৫৪ হাজার কার্ডিওভাস্কুলার ইভেন্টের তথ্য তুলে ধরেছেন তিনি, যার মধ্যে রয়েছে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং হার্ট ফেলিওর। হৃদরোগে মৃত্যুতে ধূমপানের ভূমিকা ব্য়াখ্য়া করেছেন গবেষকরা। 

Continues below advertisement

গবেষকরা জানিয়েছেন, ধূমপান কমিয়ে দিলে বা ছেড়ে দিলেই ঝুঁকি কেটে যায় না। কম সিগারেট খেলেও হৃদরোগে মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে। দিনে দুই বা পাঁচটি সিগারেট খেলে হার্ট ফেলিওরের ঝুঁকি থাকে ৫০ শতাংশ। যাঁরা একেবারেই ধূমপান করেন না, তাঁদের তুলনায়, মৃত্যুর ঝুঁকি ৬০ শতাংশ বেশি থাকে।  তিনটির মধ্যে যে কোনও কারণই দায়ী হতে পারে এক্ষেত্রে।

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ধূমপান ছেড়ে দিলে প্রথম এক দশকে কার্ডিওভাস্কুলারের ঝুঁকি বেশ কিছুটা কমে যায়। সময়ের সঙ্গে ঝুঁকি আরও কমে। কিন্তু শেষ সিগারেটে টান দেওয়ার ৩০ বছর পরও, যাঁরা কখনও ধূমপান করেননি, তাঁদের তুলনায় কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই যত তাড়াতাড়ি সিগারেট ছাড়া যায়, ততই ভাল বলে মত গবেষকদের। 

হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে ধূমপান কমিয়ে দেওয়া মোটেই সুরাহা নয় বলে মত গবেষকদের। তাঁদের মতে, একেবারে চেড়ে দিতে হবে ধূমপান। ব্রিটেনেই প্রতিবছর ধূমপানের দরুণ ৭৮০০০ মানুষ প্রাণ হারান। রোগভোগ নিয়ে বেঁচে থাকেন আরও কয়েক হাজার। আগেও একাধিক গবেষণায় ধূমপানের সঙ্গে হার্ট ফেলিওরের যোগ পাওয়া গিয়েছে। 

তামাক দ্রব্যের মধ্যে যে রাসায়নিক থাকে, তা রক্তনালির ক্ষতি করে। ফলে হৃদযন্ত্রে সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ধূমপানের পরিবর্তে বর্তমানে ভেপিং বেছে নিচ্ছেন অনেকে। তাতেও বিপদ কিছু কম নয় বলে মত চিকিৎসকদের।