নয়াদিল্লি: মহাকাশ গবেষণায় ভারতের হাত আরও শক্ত হল। সেতুবন্ধন হল জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা JAXA এবং ভারতের ISRO-র মধ্যে। ভারতের ‘চন্দ্রাযান-৫’ অভিযানের সঙ্গে যুক্ত হল জাপান। টোকিও সফরে গিয়ে এই ঘোষণা করলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। (Chandrayaan-5 Mission)
এতদিন পরিকাঠামো ক্ষেত্রে জাপানের সঙ্গে ভারতের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। এবার মহাকাশ গবেষণাতেও ভারতের সঙ্গে হাত মেলাল জাপান। সেই মতো চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের লক্ষ্য় নিয়ে এগোচ্ছে JAXA এবং ISRO. (Science News)
চুক্তিস্বাক্ষরের পর জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবাকে পাশে নিয়ে মোদি বলেন, “চন্দ্রযান ৫ অভিযান নিয়ে JAXA ও ISRO-র এই সহযোগিতামূলক সম্পর্ককে স্বাগত জানাই। আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক পৃথিবীর সীমা অতিক্রম করে গেল, যা আগামী দিনে মহাকাশে মানবজাতির উন্নয়নের প্রতীক হয়ে উঠবে।” মহাকাশ অভিযানে জাপানকে পাশে পেয়ে প্রযুক্তিগত ভাবে ভারতের হাত আরও শক্ত হল বলে মত বিজ্ঞানীদের।
চন্দ্রযান-৫ অভিযান সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত যে তথ্য মিলেছে, তা হল, ভারতের তৈরি ল্যান্ডার এবং জাপানের তৈরি রোভার নিয়ে চাঁদের উদ্দেশে রওনা দেবে মহাকাশযানটি। চাঁদের মাটিতে নামানো সবচেয়ে ভারী রোভার হতে চলেছে সেটি। জাপান থেকেই মহাকাশযানের উৎক্ষেপণ হবে। আপাতত চন্দ্রযান-৪ নিয়ে ব্যস্ত ISRO. এর আওতায় চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে পাথর ও মাটির নমুনা সংগ্রহ করে আনাই লক্ষ্য। চন্দ্রযান-৪ মিটলেই চন্দ্রযান-৫ অভিযানে ঝাঁপিয়ে পড়বে JAXA এবং ISRO. চন্দ্রযান-৬, চন্দ্রযান-৭, চন্দ্রযান-৮ নিয়েও পরিকল্পনা চলছে।
২০২৩ সালে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণকারী প্রথম দেশ হিসেবে ইতিহাসে জায়গা করে নেয় ভারত। চন্দ্রযান ৩-র ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ যে জায়গায় চাঁদের মাটি ছোঁয়, তার নাম রাখা হয় ‘শিবশক্তি পয়েন্ট’। চাঁদের মাটিতে দুই সপ্তাহ গবেষণা চালায় রোভার ‘প্রজ্ঞান’। এই মুহূর্তে মহাকাশে নিজস্ব স্পেস স্টেশন গড়ার কাজও চালাচ্ছে ISRO. ২০২৮ সালে এর প্রথম মডিউল প্রকাশ করা হবে। গগনযান অভিযানের আওতায় মহাকাশে প্রথমবার মানুষও পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।