শ্রীহরিকোটা: চাঁদের পর এবার ইসরোর মিশন সূর্য। সূর্যে নয়, সূর্য থেকে অনেক দূর থেকে নজর রাখবে আদিত্য L1. প্রত্যাশা মতোই সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট L1 এর উদ্দেশে পাড়ি দিল Aditya L1। পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিক্যাল বা PSLV-C57 রকেটে চেপে রওনা দিন আদিত্য L1। সময় লাগবে ১২৫ দিন।


পৃথিবী থেকে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন কিমি অর্থাৎ ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে একটি halo কক্ষপথে অবস্থান করবে আদিত্য।জানা গিয়েছে, এই আদিত্য এল১ পরীক্ষা করবে সূর্যের করোনা, পৃষ্ঠদেশ। সৌর ঝড় পৃথিবীর উপর কী কী প্রভাব ফেলতে পারে তা জানার চেষ্টা চালাবে ইসরোর সৌরযান। 


সূর্য ও পৃথিবীর মাঝে ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট L1 -এ অবস্থান করবে আদিত্য।  L1 ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট হল মহাকাশের এমন একটি জায়গা, যেখানে সূর্য এবং পৃথিবীর মতো দুটি বিশাল ভরযুক্ত জিনিসের মাধ্যাকর্ষীয় টানের মধ্যে ভারসাম্য থাকে এবং সেখানে অবস্থান করতে পারে মহাকাশযানের মতো ছোট কোনও জিনিস। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই পয়েন্ট থেকে সূর্যকে বাধাহীনভাবে দেখা যাবে। পরীক্ষা চলবে পাঁচ বছর ধরে। আগেই ISROর চেয়ারম্যান এস সোমানাথ জানিয়েছিলেন, মিশনটি সঠিক ব্যাসার্ধে পৌঁছতে ১২৫ দিন সময় নেবে। এই অভিযান সফল হলে সৌরমণ্ডলের মধ্যমণি সম্পর্কে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসবে।  সূর্যের বায়ুমণ্ডলের বাইরের যে আবরণ, আপাতত সেটির উপরই নজরদারি চালবে।  


এই প্রথমবার সোলার রিসার্চ অর্থাৎ সূর্যের পর্যবেক্ষণের জন্য স্পেস অবজারেভেটরি পাঠাচ্ছে ভারত। জানা গিয়েছে, ইসরো এই মহাকাশযান তৈরি করেছে এমন ডিজাইনে যা সোলার করোনার প্রত্যন্ত অংশও নিখুঁত ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারবে। এর পাশাপাশি সোলার অ্যাটমোস্ফিয়ার অর্থাৎ সূর্যের আবহাওয়া-পরিবেশ ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করবে আদিত্য এল-১ মহাকাশযান। এছাড়াও সোলার উইন্ড বা সৌর বায়ু বিশ্লেষণ করাও ইসরোর সোলার মিশনের অন্যতম লক্ষ্য। এই সোলার উইন্ড মাঝে মাঝেই সমস্যা তৈরি করে পৃথিবীতে। সাধারণ মানুষের কাছে এই সোলার উইন্ড আসলে অরোরা নামে পরিচিত। মোট সাতটি পে-লোড থাকবে Aditya L-1-এ। এর মধ্যে চারটি সূর্যের থেকে তথ্য সংগ্রহ করবে। মূলত ক্রোমোস্ফিয়ার ও কোরোনা নিয়ে গবেষণা করবে। বাকি তিনটি আরও অন্যান্য কাজে লাগানো হবে।