নয়াদিল্লি: পর পর অভিযানে আশাতীত সাফল্য মিলেছে। সামনে আরও বড় লক্ষ্য রয়েছে। সেই নিয়ে আশায় বুক বাঁধছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO). আগামী কয়েক বছরে সংস্থার বরাদ্দ বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ISRO প্রধান এস সোমনাথ  জানিয়েছেন, ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বরাদ্দ বৃদ্ধি হবে বলে আশা করছেন তাঁরা। ওই টাকা হাতে পেলে, গবেষণা থেকে অভিযান, সবই সহজতর হয়ে উঠবে বলে জানিয়েছেন ISRO প্রধান। (ISRO Funding)


সংবাদ সংস্থা রয়টার্স-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সোমনাথ জানিয়েছেন, বাজেট বরাদ্দে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি আশা করছেন তাঁরা। তবে একবারে ২০ বা ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি যে হবে না, তা স্পষ্ট বলে জানিয়েছেন সোমনাথ। তিনি জানিয়েছেন, দীর্ঘমেয়াদি সময়ে, আগামী কয়েক বছরে বরাদ্দে এই বৃদ্ধি ঘটবে বলে আশাবাদী তাঁরা।  এই বরাদ্দবৃদ্ধি আগামী দিনে ISRO-র হাত শক্ত করবে বলে মনে করা হচ্ছে। (ISRO Budget Increase)


বর্তমানে ISRO-র বার্ষিক বরাদ্দ ১৩০০ কোটি টাকা, যা আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA-র ২ লক্ষ কোটির তুলনায় অতি সামান্য। কিন্তু এতটা ফারাক থাকা সত্ত্বেও ISRO-র মিডিয়াম লিফ্ট লঞ্চ ভেহিকল মার্ক-৩ (LVM-3) তাবড় সংস্থাকে টেক্কা দিচ্ছে। ধনকুবের ইলন মাস্কের SpaceX সংস্থা যে প্রযুক্তি এবং পরিষেবা দেয়, তার সমকক্ষ ISRO-র LVM-3.


চন্দ্রযান-৩ থেকে প্রথম সৌরযান Aditya L1, মহাকাশ অভিযানে একের পর এক সাফল্য পেয়েছে ISRO. আগামী দিনে ISRO মহাকাশ গবেষণার জগতের সুপার পাওয়ার হিসেবে গন্য হবে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে বেসরকারি সংস্থাগুলির সঙ্গেও হাত মেলাচ্ছে ISRO. মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রকে আরও বর্ধিত করা, তার বাণিজ্যিকরণের উপরও জোর দেওয়া হচ্ছে। 


বেসরকার সংস্থাগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে বৃহদাকার পেলোড তৈরির পাশাপাশি, 'গগনযান' অভিযানের আওতায় মহাকাশে মানুষ পাঠানো, সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়নে লিপ্ত রয়েছে ISRO. মহাকাশে প্রথম বার মানুষ পাঠানোর আগে, চলতি বছরের ডিসেম্বরেই একটি পরীক্ষামূলক অভিযান চালানো হবে। মহাকাশ গবেষণার জগৎকে আরও বর্ধিত করতে ১০০ শতাংশ বিদেশি অনুদানের রাস্তা প্রশস্ত করতেও এগোচ্ছে কেন্দ্র। স্যাটেলাইট নির্মাণ থেকে পেলোড তৈরি, সব ক্ষেত্রেই বিদেশি বিনিয়োগের রাস্তা বের করার ভাবনা চলছে। ফলে আগামী দিনে SpaceX, Blue Origin-এর মতো সংস্থাও ISRO-র সঙ্গে হাত মেলাতে পারে।