নয়াদিল্লি: মহালয়ায় দেবীপক্ষের সূচনার সঙ্গে সঙ্গেই পুজো শুরু হয়ে গেল বাঙালির। আকাশের শরতের মেঘ, উৎসবের আমেজ চারিদিকে। আর তাতে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে মহাজগৎ। কারণ, আজ রবিবার বছরের দ্বিতীয় তথা শেষ সূর্যগ্রহণ। (Partial Solar Eclipse)
২০২৫ সালের শেষ সূর্যগ্রহণ আজই। তবে পূর্ণগ্রাস নয়, আজ আংশিক সূর্যগ্রহণ। সূর্যের ৮৫.৫ শতাংশ অংশ ঢাকা পড়ে যাবে। দক্ষিণ গোলার্ধ থেকেই এই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। ভারতীয় সময় অনুযায়ী, রবিবার রাত ১০টা বেজে ৫৯ মিনিটে সূর্যে গ্রহণ লাগা শুরু হবে। শেষ হবে ভোররাত ১টা বেজে ১১ মিনিটে। (Last Solar Eclipse of 2025)
ফলে এই সূর্যগ্রহণ ভারত থেকে দেখা যাবে না। দক্ষিণ গোলার্ধের দুই দেশ, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের মানুষজনই আজকের আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখার সুযোগ পাবে। আন্টার্কটিকা, প্রশান্ত ও আটলান্টিক মহাসাগরের কিছু অংশ থেকেও দেখা যাবে আংশিক সূর্যগ্রহণ।
জলবিষুবের আগে আজকের এই সূর্যগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর পরই উত্তর গোলার্ধে শরতের সূচনা ঘটতে চলেছে। ২৩ সেপ্টেম্বর দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য সমান হবে।
চাঁদ যখন ঘুরতে ঘুরতে সূর্য এবং পৃথিবীর মাঝে চলে আসে, তার ছায়া পৃথিবীর উপর পড়ে, সূর্যের আলো বাধা পায় পৃথিবীতে এসে পড়তে। আজকের এই সূর্যগ্রহণ আংশিক, কারণ পৃথিবী থেকে সূর্যের চাকতির কিছুটা অংশই ঢাকা থাকতে দেখা যাবে।
চলতি বছর আর সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে না। তবে ২০২৬ সালের গোড়াতেই সূর্যে ফের গ্রহণ লাগবে। আগামী বছর ১৭ ফেব্রুয়ারি এবং ১২ অগাস্ট সূর্যগ্রগণ রয়েছে। তবে সেগুলি ভারত থেকে দেখা যাবে না। একেবারে ২০২৭ সালের ২ অগাস্ট যে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ রয়েছে, সেটিই দেখা যাবে ভারত থেকে। তবে পূর্ণগ্রাস নয়, আংশিক গ্রহণই দেখা যাবে ভারত থেকে।
২০২৭ সালের ২ অগাস্টের পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ বিশেষ মুহূর্ত হতে চলেছে। কারণ সেদিন গ্রহণ চলবে একটানা ৬ মিনিট ২৩ সেকেন্ড ধরে। এত দীর্ঘ সময় ধরে সূর্যের পূর্ণগ্রাস অবস্থান অত্যন্ত বিরল। ১৯৯১ থেকে ২১১৪ সালের মধ্যে এই একবারই পৃথিবী থেকে চাঁদের আড়ালে ঢাকা পড়ে থাকতে দেখা যাবে সূর্যকে। এই সূর্যগ্রহণকে ‘Great North African Eclipse’ বলা হচ্ছে। উপমহাদেশে এখন থেকেই তাই উৎসাহ চোখে পড়ছে। চিত্রগ্রাহক থেকে বিজ্ঞানী, সকলেই মুখিয়ে রয়েছেন। উৎসাহিত সাধারণ মানুষও।
এদিনের সূর্যগ্রহণ আংশিক হলেও, সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। খালিচোখে সরাসরি সূর্যের দিকে তাকালে চোখের মণির ক্ষতি হতে পারে। তাই বাইনোকুলার, টেলিস্কোপ এবং ক্যামেরার লেন্সের মাধ্যমেই গ্রহণ দেখা উচিত। ISO 12312-2 কমপ্লায়ান্ট সোলার একলিপ্স গ্লাসও ব্যবহার করতে পারেন। সোলার ফিল্টারও ব্যবহার করা যায়। তবে বেশি ক্ষণ সূর্যের দিকে না তাকিয়ে থাকাই ভাল।