নয়া দিল্লি: রাত পোহালেই বড়দিন। আর সেই বড়দিনের রাতেই বড় বিপর্যয়ের কথা জানাল নাসা। ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৭৪৩ মাইল বেগে ২৪ ডিসেম্বর পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে এক বিশাল গ্রহাণু। 


নাসার তরফে বলা হয়েছে, প্রায় ১০ তলা ভবনের সমান আকারের বিশাল এই গ্রহাণুকে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা—নাসা ‘ক্রিসমাস ইভ গ্রহাণু’ নামকরণ করেছে। পৃথিবীবাসী যখন বড়দিনের সময় সান্তা ক্লজকে দেখার জন্য আকাশে চোখ রাখবে তখনই এই গ্রহাণুর উপস্থিতি দেখা যাবে।                                                                        


রয়্যাল গ্রিনউইচ অবজারভেটরির জ্যোতির্বিজ্ঞানী জেস লি বলেন, গ্রহাণুটি খুব দূর দিয়ে অতিক্রম করবে। পৃথিবী থেকে চাঁদের যে দুরত্ব তার চেয়ে প্রায় ১৮ গুণ বেশি দূর থেকে অতিক্রম করবে এই গ্রহাণু। পৃথিবীতে আঘাত করার মতো যথেষ্ট কাছাকাছি আসছে না গ্রহাণুটি। 


যদিও নাসার অ্যাস্টেরয়েড ওয়াচ ড্যাশবোর্ডের তথ্য বলছে, ২০২৪ এক্সএন১ নামের এই গ্রহাণু পৃথিবী থেকে ৪৪ লাখ ৮০ হাজার মাইল দূরত্ব থেকে পৃথিবীকে অতিক্রম করবে। এই বিশাল মহাজাগতিক পাথরের সঙ্গে পৃথিবীর কোনো সংঘর্ষের আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে নাসা।                                 


আরও পড়ুন, সম্ভলে খোঁড়াখুড়ি করতেই চক্ষুচড়কগাছ! মাটি কোপাতেই বেরিয়ে এল....


যেদিন থেকে প্রযুক্তি এসেছে সেদিন থেকেই ক্রমাগত এই ধরনের মহাজাগতিক গ্রহাণুর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা গ্রহাণু পর্যবেক্ষণের জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে। জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি ও রাডার সিস্টেমের মাধ্যমে গ্রহাণুর গতিবিধি সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করা হয়।


প্রসঙ্গত, যদি গ্রহাণুটি গ্রহে আঘাত হানে, তাহলে বিজ্ঞানীরা অনুমান করেন, প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টন টিএনটি সমতুল্য শক্তি নিয়ে আঘাত করবে পৃথিবীকে। ৭০০ বর্গ মাইল এলাকাজুড়ে আঘাত হানতে পারে গ্রহাণুটি। বড়দিনের রাতে ০২.৫৬ গ্রিনিচ সময়ে পৃথিবীর নিকটতম বিন্দুতে পৌঁছাবে এই গ্রহাণুটি।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে