নয়াদিল্লি: অন্যতম শক্তিধর দুই রাষ্ট্রের মধ্যে সংঘাত আজকের নয়। পৃথিবী ছাড়িয়ে সেই সংঘাত পৌঁছে গিয়েছে মহাকাশেও। তবে এবার আক্ষরিক অর্থেই মহাকাশে সম্মুখ সমরে আমেরিকা এবং রাশিয়া। মহাশূন্যের দখল নিয়ে যুদ্ধে লিপ্ত হচ্ছে না দুই দেশ। তবে তাদের দুই মহাকাশযান বিপজ্জনক ভাবে পরস্পরের দিকে এগিয়ে আসছে। দুই মহাকাশযানের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ বাধতে পারে বলেও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। (Possible Space Collision) এড়ানোর উপায় খোঁজা হচ্ছে।


আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA এবং রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ROSCOSMOS এই মুহূর্তে পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে। NASA-র থার্মোস্ফিয়ার লোনোস্ফিয়ার মেসোস্ফিয়ার এনার্জেটিক্স অ্যান্ড ডায়নামিক্স (TIMED) অভিযানে যুক্ত মহাকাশযান এবং রাশিয়ার Cosmos 2221 কৃত্রিম উপগ্রহের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। (Science News)


আমেরিকার সময় অনুযায়ী, বুধবার TIMED এবং Cosmos 2221 কৃত্রিম উপগ্রহের মধ্যে সংঘর্ষ বাধতে পারে। পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ৬০০ কিলোমিটার উচ্চতায় মুখোমুখি ধাক্কা লাগতে পারে তাদের। তবে আশা ছাড়ছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ বর্তমানে যে অবস্থানে রয়েছে TIMED এবং Cosmos 2221 কৃত্রিম উপগ্রহ, তাতে সুতোর ব্যবধানে সংঘর্ষ এড়িয়ে, পরস্পরকে পাশ কাটিয়ে চলে যেতেও পারে তারা। সব মিলিয়ে উদ্বেগে বিজ্ঞানীরা।


আরও পড়ুন: Prashanth Balakrishnan Nair: সংসার চালাতে কুয়েতে পড়েছিলেন বাবা, ছেলে ‘গগনযান’ অভিযানের নায়ক গ্রুপ ক্যাপ্টেন নায়ার


মহাশূন্যে মহাকাশযান এবং কৃত্রিম উপগ্রহের মধ্যে সংঘর্ষের অর্থ নতুন করে প্রচুর পরিমাণ মহাজাগতিক আবর্জনার সৃষ্টি। আবার সেই ধ্বংসাবশেষের সঙ্গে অন্য মহাকাশযান বা কৃত্রিম উপগ্রহের সংঘর্ষের ঝুঁকিও রয়েছে। আবার ভবিষ্যতে মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে দুই দেশই। যে কোনও উপায়ে সংঘর্ষ এড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন দুই দেশের বিজ্ঞানীরাই। 


NASA-র TMED অভিযানটি পুথিবীর জলবায়ু সংক্রান্ত গবেষণার জন্য অত্যন্ত জরুরি। কারণ মহাশূন্য থেকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উপরিস্তর নিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে সেটি। সৌরঝড়, অতিবেগুনি রশ্মির কী প্রভাব পড়ছে তার উপর, মন্যুষ্যজাত কারণে মেসোস্ফিয়ার, থার্মোস্ফিয়ারের কতটা ক্ষতি হচ্ছে, তাও খতিয়ে দেখছে। 


অন্য দিকে, Cosmos 2221 একটি রাশিয়ান ইলেকট্রনিক অ্যান্ড সিগনালস ইনটেলিজেন্স (ELINT) কৃত্রিম উপগ্রহ। ১৯৯২ সালে সেটির উৎক্ষেপণ হয়। সেটির ওজন প্রায় ২০০০ কেজি। তাই সংঘর্ষ বাধলে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের। কার্যতই এখন প্রহর গুনছেন তাঁরা।