পাসাডেনা: দুরন্ত মহাজাগতিক ঘটনার সম্মুখীন আমাদের পৃথিবী (asteroid passes near earth)। নাসার সিস্টেমে ধরা পড়েছে, ট্রাকের আয়তনের একটি গ্রহাণু চলতি সপ্তাহেই পৃথিবীর একেবারে গা ঘেঁষে পেরিয়ে যাবে। গাণিতিক হিসেব ঠিক থাকলে, ভূপৃষ্ঠ থেকে মোটে ২হাজার ২০০ মাইল দূর দিয়ে উড়ে যাওয়ার কথা সেটির যা কিনা নাসার (NASA System Records Asteroid) ইতিহাসে রেকর্ড। তবে পৃথিবীর মাটিতে অভিঘাত হানার বা আছড়ে পড়ার কোনও আশঙ্কা নেই এই গ্রহাণু, এমনই জানিয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।


যা জানা গেল...
গ্রহাণুটির নাম 2023। এখনও পর্যন্ত তার যা গতিবিধি তাতে সম্ভবত দক্ষিণ আমেরিকার মাথার উপর দিয়ে চলে যাবে সেটি। পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার এখনও পর্যন্ত কোনও আশঙ্কা নেই। তবে যদি কোনও কারণে 'মেজাজ' বদলে সে আছড়েও পড়ে, তাতেও খুব বেশি ক্ষতি হবে না। বায়ুমণ্ডলেই সিংহভাগ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে গ্রহাণুটি। পৃথিবীর বুকে যতটুকু এসে পড়বে তা উল্কাপিণ্ডের বড়সড় ধ্বংসাবশেষ গোত্রের মতো হবে, ধারণা বিশেষজ্ঞদের। গত শনিবার গ্যান্ডি বরিসভ নামে এক ব্যক্তির চোখে পড়ে এটি। মহাকাশচর্চা গ্যান্ডির শখ। কিন্তু মহাজাগতিক বস্তুটি নজরে আসতেই তিনি মাইনর প্ল্যানেট সেন্টারে খবর দেন। এর পর সক্রিয় হয় 'নাসার স্কাউট ইমপ্যাকট হ্যাজার্ড অ্যাসেসমেন্ট সিস্টেম।' পরে নাসার তরফেও বলা হয়েছিল, '2023 BU যে কোনও ইমপ্যাকটর নয় সেটি স্কাউটই বুঝিয়ে দিয়েছিল। তবে পর্যবেক্ষণ করার মতো খুব বেশি তথ্য় ছিল না। যদিও তা দিয়েই স্কাউট জেনে ফেলে যে পৃথিবীর গা ঘেঁষে বেরিয়ে যাবে এই গ্রহাণু।' নাসার বিজ্ঞানীদের দাবি, পৃথিবীর কাছ দিয়ে যেসব মহাজাগতিক বস্তু গিয়েছে, এটিই তার মধ্যে নিকটতম হতে চলেছে। এখনও পর্যন্ত এই গ্রহাণু থেকে কোনও ক্ষতির আশঙ্কা না থাকলেও নাসার নিজস্ব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরির দিকে নজর দিতে শুরু করে দিয়েছে। প্রসঙ্গত, সপ্তাহখানেক আগেই নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপে নতুন গ্রহের অস্তিত্ব ধরা পড়েছিল।


নতুন গ্রহের সন্ধান...
আমাদের সৌরজগতের বাইরে, চন্দ্র-সূর্য-পৃথিবীর থেকে দূরে একটি এক্সোপ্ল্যানেটের সন্ধান পেয়েছিল নাসা। অর্থাৎ আমাদের সৌরজগতের বাইরে অন্য একটি নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে চলা গ্রহের সন্ধান মিলেছিল হালেই। সেটিকে LHS 475 b নামে চিহ্নিত করেন বিজ্ঞানীরা। আমাদের সৌরজগতের বাইরে ওই LHS 475 b গ্রহটিও একটি নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে বলে জানা যায়। সেটির আয়তনও প্রায় পৃথিবীরই সমান বলে জানা যায়। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি অ্যাপ্লায়েড ফিজিক্স ল্যাবরেটরির কেভিন স্টিভেনসন এবং জেকব লাস্টিগ-ইয়েগের এই অনুসন্ধানে নেতৃত্ব দেন।


আরও পড়ুন:বিজেপির জেলা সভাপতিকে জুতোপেটা মহিলা কর্মীর, মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বৈঠকে ধুন্ধুমার