নয়াদিল্লি: মাত্র দু'মাসের জন্য হলেও, নয়া উপগ্রহ পেয়েছে পৃথিবী। রাতের আকাশে এবার নয়া নক্ষত্রের আবির্ভাব ঘটতে চলেছে। পৃথিবী থেকে ৩০০০ আলোকবর্ষ দূরে, করোনা বোরিয়ালিস নক্ষত্রমণ্ডলে অবস্থিত দু'টি নক্ষত্রের মধ্যে একটি নক্ষত্র এটি। বহুকাল আগেই প্রাণবায়ু বেরিয়ে গিয়েছিল নক্ষত্রটির। সেই মৃত নক্ষত্রই এবার জেগে উঠতে চলেছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। মহাজাগতিক বিস্ফোরণের জেরে এমনটি ঘটতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। (New Star in Sky)
T Coronae Borealis নামের নক্ষত্রটি মৃত অবস্থা থেকে জেগে উঠতে চলেছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এটি একটি বামন নক্ষত্র, ঔজ্বল্যের নিরিখে ১০তম পর্যায়ে পড়ে। জানা গিয়েছে, T Coronae Borealis নক্ষত্রটির অবশিষ্টাংশই পড়ে রয়েছে। প্রায় শেষ হয়ে এসেছে জ্বালানি। পাশের লাল নক্ষত্রটিই তাকে এখনও তাপমাত্রা জুগিয়ে চলেছে। এই নক্ষত্রকে 'Glaze Star' বলে উল্লেখ করা হলেও, কোনও রকমে নিভু নিভু অবস্থায় টিকে রয়েছে। (T Coronae Borealis)
এই নক্ষত্রটির চারিদিকে বলয় রয়েছে। মেরুজ্যোতির আভাও চোখে পড়ে। এতদিনে বিস্ফোরণ ঘটে মহাশূন্যে সেটির অস্তিত্ব মিটে যাওয়ার কথা ছিল। এতদিন তা না ঘটলেও, সেপ্টেম্বর থেকে সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন পেনসিলভ্যানিয়ার ভিলানোভা ইউনিভার্সিটির প্ল্যানেটারি সায়েন্স এবং জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক এডওয়ার্ড সায়ন।
T Coronae Borealis নক্ষত্রটিকে T CrB বলেও অভিহিত করা হয়। এর ঔজ্জ্বল্যের মাত্রা +২, প্রায় ধ্রুবতারার মতো। কিন্তু T CrB অনিয়মিত ভাবেই উদ্ভাসিত হয়। খালি চোখে কখনও এক সপ্তাহ, কখনও বা দু'সপ্তাহ দেখা যায়। আবারও নিস্তেজ রূপে ফিরে যায়। প্রতি ৮০ বছর অন্তর খালিচোখে ধরা দেওয়ার মতো উজ্জ্বল হয়ে ওঠে T CrB. শেষ বার ১৯৪৬ সালে সেটিকে খালি চোখে দেখা গিয়েছিল।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ১৮৬৬-র পর ১৯৪৬ সালে, T CrB নক্ষত্রটিকে উজ্জ্বল রূপে দেখা যায়। সেই নিরিখে আরও দু'বছর বাকি রয়েছে নতুন করে উজ্জ্বল হয়ে উঠতে। কিন্তু ১৯৪৬ সালে সময়ের আগেই নক্ষত্রটি উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। এবারেও তেমনটাই ঘটতে পারে। আকাশগঙ্গা ছায়াপথের অন্যতম আকর্ষণীয় নক্ষত্র T CrB. আকাশগঙ্গা ছায়াপথে এই মুহূর্তে পাঁচটি এমন নক্ষত্র রয়েছে, যেগুলিতে বিস্ফোরণ ঘটা বহাকি। সেই আবহেই T CrB-কে রাতের আকাশে দেখতে অপেক্ষা করছেন বিজ্ঞানীরা। উজ্জ্বল রূপ ধারণ করলে সেটি ধ্রুবতারাকে টেক্কা দেবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।