নয়াদিল্লি: মহাকাশ গবেষণায় একের পর এক রেকর্ড। এবার নয়া মাইলফলক ছুঁঁতে চলেছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO. আমেরিকার তৈরি কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট মহাকাশ পাঠাতে চলেছে তারা। যে সে স্যাটেলাইট নয়, ৬৫০০ কেজি ওজনের স্যাটেলাইট, যেটিকে মহাকাশে পাঠানোর দায়িত্ব পেয়েছে ISRO. আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ওই স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণ। ISRO-র সাফল্য তুলে ধরতে গিয়ে একথা জানালেন সংস্থার প্রধান। (ISRO Chairman V Narayanan)

Continues below advertisement


ISRO-র চেয়ারম্যান তথা মহাকাশ বিভাগের সচিব ভি নারায়ণন রবিবার এই ঘোষণা করলেন। চেন্নাইয়ের কাছে SRM Institute of Science and Technology-র ২১ তম সমাবর্তনে যোগ দিয়ে একথা জানান তিনি। ISRO প্রধান নারায়ণ জানিয়েছেন, ছয়ের দশকে মহাকাশ গবেষণার জগতে পা রেখেছিল ভারত। সর্বপ্রথম আমেরিকার দেওয়া ক্ষুদ্র একটি রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়। কিন্তু এক পা, এক পা করে আজ তাবড় দেশকে টেক্কা দেওয়ার পথে ভারত। (ISRO News)


ISRO প্রধানকে বলতে শোনা যায়, “১৯৬৩ সালের ২১ নভেম্বর আমেরিকা ছোট্ট একটি রকেট দিয়েছিল আমাদের। সেই ছিল সূচনা। আধুনিক দেশগুলির চেয়ে সেই সময় ছ’-সাত বছর পিছিয়ে ছিলাম আমরা। সেই সূচনা থেকে ২০২৫ সালের ৩০ জুলাই, মহাকাশ গবেষণা ভারতের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন।”


আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA এবং ISRO মিলে Synthetic Aperture Radar (NISAR) স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণ করেছে সম্প্রতি। সেই প্রসঙ্গেই এমন মন্তব্য করেন ISRO প্রধান। তিনি জানিয়েছেন, NISAR অভিযানের আওতায়, পৃথিবীর সবচেয়ে দামি স্যাটেলাইটটিকে মহাকাশে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, যাতে আমেরিকার L-band SAR পেলোড রয়েছে, রয়েছে ISRO-র S-band পেলোড। এত নিখুঁত ভাবে ভারত ওই উৎক্ষেপণ সম্পন্ন করে যে, আমেরিকাও প্রশংসাও ভরিয়ে দিয়েছে।


আগামী দিনে আমেরিকার তৈরি যে ৬৫০০ কেজির স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে চলেছে ISRO, তা দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি, ভারতের উৎক্ষেপণযান থেকেই মহাকাশের উদ্দেশে রওনা দেবে। তাই ISRO প্রধান বলেন, “যে দেশ আমেরিকার থেকে ছোট্ট একটি রকেট পেয়েছিল, আজ সে অন্যতম বৃহত্তম কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে চলেছে। এতেই বোঝা যায়, কতটা এগিয়ে এসেছি আমরা। ৫০ বছর আগে যার কাছে স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ছিল না, সেই ভারত আজ অন্য ৩৪টি দেশের ৪৩৩টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে ফেলেছে, তাও আবার নিজস্ব উৎক্ষেপণ যান ব্যবহার করে। এটা শুধুমাত্র প্রযুক্তির উন্নতি নয়, আমাদের দৃঢ়তা, দূরদর্শিতারও পরিচয়, যার দরুণ তাবড় দেশের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছি।”


SRM Institute of Science and Technology-র তরফে ISRO প্রধানকে সাম্মানিক ডক্টর অফ সায়েন্স সম্মান প্রদান করা হয়। মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণ সেই সম্মান তুলে দেন তাঁর হাতে। সেখানেই ISRO-র ইতিহাস সকলের সামনে তুলে ধরেন।