নয়াদিল্লি: ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে মহাকাশচারী (India Astronaut To Moon) পাঠানোর চেষ্টা করবে ভারত, চন্দ্রযান-৩ অভিযানের পর ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার (Government Statement On India Space Mission)। তাতে আরও জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) ২০৩৫ সালের মধ্যে স্পেস স্টেশন তৈরির নকশা বানাতেও নির্দেশ দিয়েছেন স্পেস ডিপার্টমেন্টকে। চন্দ্রযান-৩ অভিযানের পর মহাকাশ গবেষণায় যে সরকার জোরালো উদ্যোগ নিতে চাইছে, সার্বিক ভাবে এটা স্পষ্ট এই ঘোষণায়। পরে ইসরোর তরফেও ট্যুইট করে জানানো হয় বিষয়টি।
বিশদ...
গত অগাস্টে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান-৩-এর সফল অবতরণের পর গোটা বিশ্বের প্রশংসা কুড়িয়েছিল ইসরো। দুরন্ত ওই অভিযানের ঠিক আগেই রাশিয়ার একটি অভিযান ব্যর্থ হয়ে যায়। একসময়ে মহাকাশ গবেষণার অন্যতম পথিকৃৎ রাশিয়ার এই ব্যর্থতার পাশে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার এই সাফল্য গোটা দুনিয়ার নজর কাড়ে। এতেই শেষ নয়। এর পর সূর্যের উদ্দেশে অভিযান শুরু করে ইসরো। পাশাপাশি নভোচরদের নিয়ে মহাকাশ অভিযানের পরীক্ষামূলক অংশ হিসেবে তাদের একটি টেস্টও করার কথা চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে। তার মধ্যে সরকারের এই বিবৃতি। তাতে লেখা, 'প্রধানমন্ত্রী আরও নতুন এবং কঠিনতর লক্ষ্য জয়ের নির্দেশ দিয়েছেন। ২০৩৫ সালের মধ্যে ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন তৈরি এবং ২০৪০ সালের মধ্যে প্রথম ভারতীয় মহাকাশচারীকে দেশের উদ্যোগে চাঁদে পাঠানোর কথাও বলেছেন তিনি।' এই লক্ষ্য পূরণ করতে স্পেস ডিপার্টমেন্ট চাঁদের খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ করার জন্য একটি নীল-নকশা তৈরি করবে, আরও সংযোজন রয়েছে ওই বিবৃতিতে। তবে শুধু চাঁদ নয়, মঙ্গল এবং শুক্রগ্রহেও অভিযানের জন্যও বিজ্ঞানীদের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
পরিকল্পনা,..
ইসরোর তালিকায় এখনও আরও অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে গগনযান ১ (Gaganyaan 1), গগনযান ২ (Gaganyaan 2), গগনযান ৩ (Gaganyaan 3), শুক্রযান ১ (Shukrayaan-1), মঙ্গলযান ২ (Mangalyaan-2), লুনার পোলার এক্সপ্লোরেশন মিশন বা লুপেক্স (LUPEX) ইত্যাদির মতো দুরন্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চলেছে ইসরো। এর মধ্যে মহাকাশে নভোচর পাঠানোর নিরিখে ইসরোর প্রথম অভিযান গগনযান। এর মধ্যে গগনযান ১ প্রথম পরীক্ষামূলক সফর। তিন জন মহাকাশচারী নিয়ে যেতে পারে এমন একটি মহাকাশযান পাঠানো হবে এই ধাপে। তবে এই ধাপে কোনও নভোচর থাকবেন না।
গগনযান২-এর ক্ষেত্রে মহাকাশযানে করে রোবট 'ব্যোমিত্র'-কে পাঠানো হবে। প্রথম মহাকাশচারী পাঠানোর আগে স্পেসক্রাফটের খুঁটিনাটি বুঝে নেওয়াই লক্ষ্য এর। গগনযান-৩-এ থাকবে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে সম্ভাব্য নভোচরদের বেছে নেওয়া হবে। সব ঠিকঠাক চললে এঁদের মধ্যে থেকে যাঁরা চূড়ান্ত নির্বাচিত হবেন তাঁদেরই মহাকাশে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন:চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্য, ২৩ অগাস্টকে 'জাতীয় মহাকাশ দিবস' ঘোষণা কেন্দ্রের