কলকাতা: পৃথিবী থেকে ৩৭৬ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে রয়েছে এই জায়গা। পৃথিবীর মতোই এটিও সূর্যের চারিদিকে ঘোরে। তবে এটি গ্রহ নয়, গ্রহাণু। মঙ্গল এবং বৃহস্পতির মাঝে অ্যাস্টেরয়েড বেল্টে থাকা এই গ্রহাণুর দিকেই এখন চোখ NASA-এর।  কারণ বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই বিশেষ গ্রহাণুটি সোনায় ঠাসা।


এর নাম 16 Psyche। চাঁদ বা মঙ্গলগ্রহ নয়, এখন এর দিকেই নজর বিজ্ঞানীদের। কারণ গবেষণায় মনে করা হচ্ছে- এই গ্রহাণু কার্যত সোনার খনি। নাহ- খনি নয়- আস্ত সোনার তাল। তবে শুধু সোনা নয়, লোহা এবং নিকেলের মতো ধাতুও রয়েছে 16 Psyche নামের এই গ্রহাণুতে। তাই এখানেই অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে NASA.


কী মনে করছেন বিজ্ঞানীরা?
এখনও পর্যন্ত গবেষণায় যে তথ্য উঠে এসেছে, তাতে মনে করা হচ্ছে এই গ্রহাণু ধাতু দিয়েই তৈরি। তবে যে সে ধাতু নয়। সবকটিই দামি এবং অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ধাতু। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন এই গ্রহাণুর মূল অংশ মূলত সোনা। এছাড়া বিপুল পরিমাণের লোহা ও নিকেলের সঞ্চয় রয়েছে। পাশাপাশি বেশ কিছু Rare Metal-ও রয়েছে বলে তাঁদের ধারণা। বিজ্ঞানীদের এখনকার ধারণা অনুযায়ী ওই গ্রহাণুতে যা সম্পদ রয়েছে পৃথিবী অনুযায়ী তার মূল্য হতে পারে ১০০০০ কোয়াড্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেটা কতটা অর্থ? এক কথায় বলতে গেলে আমাদের বিশ্বের মোট যে অর্থনীতি তার চেয়েও বেশি।


এই খোঁজ কিন্তু নতুন নয়, দীর্ঘদিন ধরেই এই গ্রহাণুর উপর নজর রেখেছেন বিজ্ঞানীরা। শুধু সোনার খোঁজ নয়। বিজ্ঞানের দিকও রয়েছে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এই গ্রহাণু আসলে কোনও গ্রহের Core, সৌর পরিবার তৈরির একেবারে প্রথম দিকে কোনও সংঘর্ষে হয়তো সেই গ্রহ বা গ্রহসদৃশ কিছু ভেঙে এটি বেরিয়ে এসেছে। এই গ্রহাণু ঠিকমতো নিরীক্ষণ করলে পৃথিবীর Core- এর বিষয়েও আন্দাজ মিলতে পারে বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা।


২০২২ সালে এই গ্রহাণুর উদ্দেশে অভিযান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা স্থগিত হয়ে যায়। তখন NASA-Jet Propulsion Laboratory- নিয়ে ব্যস্ত ছিল। সেই কাজ এখন মিটে গিয়েছে। ফলে এখন তাদের নজর 16 Psyche-তে। সব ঠিক থাকলে, এই বছরেই অক্টোবরে কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে যাত্রা শুরু করবে মহাকাশযান। পৌঁছনোর কথা ২০২৯ এর আগস্টে। তারপর ২৬ মাস ধরে ওই গ্রহাণুকে পরিক্রমা করার কথা। 


আরও পড়ুন: 'দেউচা পাঁচামিতে ১ লক্ষ মানুষের কাজ', অনুব্রত-গড়ে ভোট-আশ্বাস মমতার