কলকাতা: ২৪ ঘন্টায় আর দিন নাও হতে পারে। দিনের দৈর্ঘ্য কমে যেতে পারে। আর তা হতে পারে মানুষের দোষেই। সম্প্রতি এমনই একটি তথ্য জানা গেল নেচার পত্রিকায় প্রকাশিত গবেষণা থেকে। ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, পৃথিবীর গতি কমে যাচ্ছে । যার ফলে একটি গোটা দিনের দৈর্ঘ্য বেড়ে যাচ্ছে। ব্য়স্ততার যুগে একদিনে কিছুটা বেশি সময় পেলে অনেকেই খুশি হতে পারেন। কিন্তু আদতে এটি যে অন্য সমস্যার ইঙ্গিত, তা ঠারে ঠারে বুঝিয়ে দিয়েছেন নেচারের ওই গবেষণাপত্রটি।
কেন দিনের দৈর্ঘ্য বাড়তে পারে ?
গবেষকদের কথায়, দিনের দৈর্ঘ্য বাড়ার পিছনে অন্যতম কারণ পৃথিবীর দুই মেরুপ্রান্তের বরফ গলে যাওয়া। ওই বরফ গলে যাওয়ার ফলে পৃথিবীর গতিতে পরিবর্তন আসছে। আগের তুলনায় গতি কিছুটা কমে যাবে বলেই আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের। তার ফলে দিনের দৈর্ঘ্য বাড়তে পারে। আর এই গোটাটাই হচ্ছে মানুষের কারণে। মনুষ্যসৃষ্ট দূষণের জেরে দুই মেরু প্রান্তের বরফ গলে যাচ্ছে। যার ফলে বাড়ছে।
কতটা সময় বাড়ছে ?
কতটা সময় বাড়তে পারে পৃথিবীর ? এর একটি হিসেবও কষেছেন বিজ্ঞানীরা। সাধারণভাবে ২৪ ঘন্টায় একটা দিন ধরা হলেও পৃথিবী ২৩ ঘন্টা ৫৬ মিনিট একটি সম্পূর্ণ আবর্তন শেষ করে। অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ের চেয়ে একটু তাড়াতাড়িই ঘোরে পৃথিবী। কিন্তু এবার তাতে নেগেটিভ লিপ সেকেন্ড যোগ করতে হবে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। অর্থাৎ পৃথিবীর মোট সময় থেকে কমিয়ে দিতে হবে এক লিপ সেকেন্ড। প্রসঙ্গত, এই লিপ সেকেন্ড বা লিপ ডে (যেমন ২৯ ফেব্রুয়ারি) সময়কে ঠিক রাখতে অর্থাৎ অ্যাডজাস্ট করতে ব্যবহার করা হয়। ২০২৬ সালেই এই লিপ সেকেন্ড যোগ করার কথা ছিল বিজ্ঞানীদের। কিন্তু হিমবাহ গলনের কারণে এই সালটি তিন বছর পিছিয়ে ২০২৯ সাল হচ্ছে।
কী কী সমস্যা হতে পারে ?
পৃথিবীর মোট সময় থেকে কমিয়ে দিতে হবে এক লিপ সেকেন্ড। এর বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে গোটা বিশ্বকে। বিজ্ঞানীদের কথায়, এক সেকেন্ডের হেরফেরের কারণে কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং সিস্টেমে গণ্ডগোল দেখা দিতে পারে। যেহেতু সারা বিশ্ব এখন নেটমাধ্যমে সংযুক্ত থাকে, তাই সময়ের হেরফেরে কাজের হেরফের হতে পারে। যা থেকে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
আরও পড়ুন - Health Research: সুগার লেভেল মেপে দেবে ১০ টাকার কাগজ!