কলকাতা: আরও একবার মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী থাকতে চলেছে বিশ্ব। বিশ্বের একাধিক প্রান্ত থেকে দেখা যাবে বছরের প্রথম পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। এ বছরের ৮ এপ্রিল একটি বিরল সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। এটি ৭ দশমিক ৫ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হবে। এত দীর্ঘ সূর্যগ্রহণ ৫০ বছরের মধ্যে একবার ঘটে। 


এর আগে সর্বশেষ ১৯৭৩-এ রকম দীর্ঘ সূর্যগ্রহণ দেখা গিয়েছিল। আগামী ৮ এপ্রিলের পর আবার ২১৫০ সালে এই বিরল সূর্যগ্রহণের দেখা মিলবে। কক্ষপথে চাঁদ ও সূর্য একই সারিতে এসে পড়লে ঘটে সূর্যগ্রহণ। এমন পরিস্থিতিতে সূর্যের আলো সরাসরি চাঁদের গায়ে পড়ে, ফলে পৃথিবীতে চাঁদের ছায়া পড়ে। এ সময় চাঁদ স্বাভাবিকের চেয়ে পৃথিবীর কাছাকাছি থাকে এবং এটিকে কিছুটা বড় দেখায়। সে সময় পৃথিবীর একাংশের দর্শকদের চোখে সূর্য সম্পূর্ণরূপে চাঁদের আড়ালে থাকে। ফলে এ সময় পৃথিবীর ওই অংশ অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। 


সূর্যগ্রহণের স্থায়িত্ব ও দৃশ্যমানতা পর্যবেক্ষকের ভৌগোলিক অবস্থানের ওপর নির্ভর করে। আগামী ৮ এপ্রিল মেক্সিকো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় সম্পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হবে। অর্থাৎ এসব অঞ্চল সম্পূর্ণ অন্ধকারে ঢেকে যাবে। ফলে লাখ লাখ মানুষ এই বিরল ঘটনা উপভোগ করতে পারবে। এশিয়ার জ্যোতির্বিদেরা এ ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করতে পারবেন না। তবে লাইভ স্ট্রিমের মাধ্যমে ঘটনাটি কিছুটা হলেও উপভোগ করার ব্যবস্থা থাকবে। 


সূর্যগ্রহণটি বিভিন্ন কারণে বিশেষ হবে কারণ এই দিনে চাঁদ এবং সূর্যের মধ্যে দূরত্ব হবে ৩,৬০,০০০ কিলোমিটার যা তাদের মধ্যে সবচেয়ে নিকটতম। তাই চাঁদকে স্বাভাবিকের চেয়ে বড় দেখাবে। চাঁদের কাছাকাছি থাকার কারণে এটি দৃশ্যটিকে আরও সুন্দর করে তুলবে।                                   


আরও পড়ুন, সমাজে পাননি সম্মান, পরিবার পেয়েছে অবজ্ঞা, JNU'র সভাপতি দলিত ছাত্রনেতার জীবন লড়াইয়ে ঘেরা


এবারের সূর্যগ্রহণের আরেকটি আকর্ষণীয় দিক হল, ঘটনার সময়। সূর্যের ১১ বছরের ঘটনাচক্রের চূড়ান্ত পর্যায়ের সঙ্গে সূর্যগ্রহণটি মিলে যাবে। অর্থাৎ এ সময় সৌর ঘটনা বেড়ে যাওয়ার কারণে আরও বেশি সৌর কলঙ্ক এবং করোনা (সূর্যের বাইরের শ্বেত অংশ) দেখা যাবে। সূর্যগ্রহণের সময় সৌর কিরণের গোলাপি আভার বৈশিষ্ট্যগুলো প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পাওয়া যেতে পারে।