নয়াদিল্লি: ফের জোরাল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তুরস্ক।  রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৫.৪। এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর নেই। ঠিক কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, বিশদ তথ্য সামনে আসেনি। তবে ভূমিকম্পের পর আফটারশকও অনুভূত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। দেশের একাধিক অঞ্চলে কম্পন অনূভূত হয়েছে। (Earthquake News)

Continues below advertisement

রবিবার আচমকাই দুলে ওঠে তুরস্কের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। মূলত দেশের উত্তর-পশ্চিম অংশেই কম্পন অনুভূত হয়। তুরস্কের বিপর্যয় মোকিবিলা বিভাগ জানিয়েছে, কুটায়া অঞ্চলের সিমভ শহরই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। ভূগর্ভের আট কিলোমিটা গভীরতা থেকে ছড়িয়ে পড়ে কম্পন। (Earthquake in Turkey)

তুরস্কের স্থানীয় সময় অনুযায়ী, দুপুর ১২টা বেজে ৪৯ মিনিটে মাটি কেঁপে ওঠে। প্রথমে ৫.৪ তীব্রতায় কম্পন অনুভূত হয়। এর ফর আফটারশকও অনুভূত হয়, রিখটার স্কেলে যার তীব্রতা ছিল ৪। আতঙ্কে মানুষজন সব বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কম্পনের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে, ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, দেশের বৃহত্তম শহর ইস্তানবুলের মাটিও কেঁপে ওঠে। তবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর নেই আপাতত।

Continues below advertisement

সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ছবি ও ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে সাধারণ মানুষকে খোলা জায়গায়, পার্কে এসে জড়ো হতে দেখা গিয়েছে। আতঙ্ক ছড়ায় সকলের মধ্যে। কারণ অগাস্ট মাসেই পর পর বেশ কয়েক বার ভূমিকম্প হয় তুরস্কে। ক্ষয়ক্ষতিও হয় বেশ। ৬.১ তীব্রতায় মাটি কেঁপে ওঠে সেবার। পর পর আফটারশকও অনুভূত হয়। সেই থেকেই প্রায়শ কম্পন অনুভূত হচ্ছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর।

একাধিক চ্যুতিরেখার উপর অবস্থিত হওয়ার দরুণ তুরস্ক ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ হিসেবেই গণ্য হয়। ২০২৩ সালে ভয়ঙ্কর বিপর্যয় নেমে আসে সেখানে। ৭.৮ তীব্রতায় মাটি কেঁপে উঠলে দেশের দক্ষিণ অংশ একেবারে শ্মশানে পরিণত হয়। মারা যান প্রায় ৫৩ হাজার মানুষ। ১১টি প্রদেশে হাজার হাজার বাড়িঘর ভেঙে পড়ে। উত্তর সিরিয়াতেও তার প্রভাব পড়ে ব্যাপক। সেখানে ৬০০০ মানুষ মারা যান।