কলকাতা: দিনকয়েক আগে চাঁদের নিচে শুক্রের অবস্থান নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছিল। ছবিতে ছবিতে ছয়লাপ হয়েছিল সোশাল মিডিয়া। রোহিণী নক্ষত্র না শুক্রগ্রহ (সন্ধ্যাতারা) তা নিয়েও জল্পনা চলে। তবে এবার আর এক নয়, পাঁচ গ্রহের মহাসংযোগ দেখতে চলেছে বিশ্ব।
বুধ, শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি ও ইউরেনাস—সৌরজগতের পাঁচ সদস্যকে আকাশের মঞ্চে পরপর দেখতে পাওয়া যাবে এবার। ২৫ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত সপ্তাহখানেক দেখা যাবে গ্রহগুলোকে। কিন্তু সবচেয়ে পরিষ্কার এই দৃশ্য দেখা যাবে ২৮ মার্চ। তবে মূলত তিনটি গ্রহ—বুধ, শুক্র ও বৃহস্পতিকে খালি চোখে দেখা গেলেও বাকি গ্রহদুটিকে দেখতে হলে দরকার শক্তিশালী দূরবীন বা টেলিস্কোপ। সেক্ষেত্রে মঙ্গলকেও ইউরেনাসের থেকে উজ্জ্বল দেখাবে। এবার এই দৃশ্য দেখতে মুখিয়ে রয়েছেন আকাশপ্রেমীরা।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ডিসেম্বরের পর প্রথমবারের মতো গত বছর জুনে বুধ, শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং শনি সেই বিরল ক্রমে সারিবদ্ধ হয়েছিল।
অ্যাপোলো মহাকাশচারী বাজ অলড্রিন সম্প্রতি টুইটে লিখেছেন, ‘গ্রহের প্রান্তিককরণের জন্য মাসের শেষের দিকে আকাশের দিকে তাকাতে ভুলবেন না, যাতে চাঁদের সঙ্গে আরো অন্তত পাঁচটি গ্রহ থাকবে।’ জ্যোতির্বিজ্ঞানের সারিবদ্ধতা ঘটে যখন গ্রহগুলো একই সঙ্গে সূর্যের একই পাশে সারিবদ্ধ হয়। স্টারওয়াক অনুসারে, এই গ্রহগুলো আকাশের একটি ছোট ৫০ ডিগ্রি সেক্টরের মধ্যে সূর্যাস্তের পর দৃশ্যমান হবে ।
আরও পড়ুন, ভারতে আরও বাড়বে ভূমিকম্প? কোন কোন অঞ্চলে লাল সতর্কতা রয়েছে?
এর আগে শুক্রের অবস্থান নিয়ে সোশাল মিডিয়া ভরে উঠেছিল। জ্যোর্তিবিজ্ঞানী দেবীপ্রসাদ দুয়ারি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধে হতেই কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী একাধিক জায়গা থেকে দেখা গিয়েছে যে দৃশ্য। সূর্যাস্তের পরই দেখা যায়, একফালি চাঁদের ঠিক নিচে জ্বলজ্বল করছে এক আলোকবিন্দু। ওই উজ্জ্বল আলোকবস্তুটি আসলে শুক্র গ্রহ। কলকাতার সময় অনুযায়ী ৪ টে ৪৩ থেকে ৬ টা ৮ পর্যন্ত সময়ে চাঁদ ঢেকে ফেলেছিল শুক্র গ্রহকে (Venus) । যেন বলা যায়, শুক্র গ্রহের গ্রহণ হচ্ছিল। ৬ টা ৮ মিনিটের মাথায় গ্রহণ ছেড়ে তা বেরিয়ে আসে। যার পর আস্তে আস্তে আস্তে চাঁদ ও শুক্রের মধ্যে ব্যবধান খানিক বাড়তে শুরু করে। যার ফলেই তৈরি হয় এই আলো। অবশ্য মহাজাগতিক অদ্ভুত সুন্দর এক ঘটনা। যেটা সাধারণ মানুষ খালিচোখে দেখতে পেলেন।