কলকাতা: ব্যস্ততার শেষ নেই তার। এই সৌরজগতের অধিপতি তিনি। গ্রহ-নক্ষত্র-উপগ্রহেরা ঘুরে চলেছে তাঁকে ঘিরেই। অথচ সেই তিনিই কিনা ফুঁসছেন ক্ষোভে! মহাকাশবিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে সূর্যের মধ্যে ভয়ঙ্কর রকমের সৌরঝড় ক্রমশ বেড়েছে। করোনাস্তর পেরিয়ে মাঝেমধ্যেই লাভা ছিটকে পড়ছে। তবে তাঁকে শান্ত করার উপায় নেই। বরং এই অশান্তর রেশ এসে পড়বে সৌরমণ্ডলে এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।
এপ্রিলেই ২৩ বার করোনাল মাস ইজেকশন দেখা গিয়েছে সূর্য থেকে। এর মধ্যে তিনবার উঠেছে চরম সৌর ঝড়। যার প্রভাব এসে পড়েছিল পৃথিবীতেও। যদিও জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এপ্রিল মাসে না কি তেতেই থাকে সূর্য। এর আগেও এপ্রিল মাসেই একাধিক সৌরঝড় দেখা গিয়েছিল। সূর্যর মধ্যে ৯৬টি সানস্পট দেখতে পাওয়া গিয়েছে যেখানে এই সৌরঝড় অনেকটাই বেশি মাত্রায় হচ্ছে।
আশঙ্কা দেখা দিয়েছে সেখানেই। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, বেশ কিছু বছরের মধ্যে এই সানস্পটের সংখ্যা বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। অর্থাৎ সোলার ম্যাক্সিমাম-এর দিকেই অনেকটাই পৌঁছে গিয়েছে সৌরমণ্ডলের এই সর্ববৃহৎ নক্ষত্র।
আরও পড়ুন, বিছানায় ফোন রেখে ঘুম মৃত্যু ডেকে আনার সমান! আশঙ্কা প্রকাশ গবেষকদের
‘ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (এনওএএ)-এর মহাকাশ ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, সূর্যের পৃষ্ঠে একটি নতুন ভূচৌম্বকীয় ঝড়ের দেখা মিলেছে। তার প্রভাব পৃথিবীর জনজীবনের ওপরেও পড়তে পারে। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জি-২ ক্যাটাগরির একটি ঝড় দেখা গেছে। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, আগামী ১৫ আগস্ট পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়বে এই দুটি ঝড়। এই ঝড়ের গতিবেগ প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার।
বেশ কয়েকদিন আগেই পৃথিবীর ওপর দিয়ে বয়ে গেছে সৌরঝড়। যার প্রভাবও পড়ছে বেশ ভালোই। বিশেষ করে ভারতীয় মহাসাগর এলাকায়। যার ফলে রেডিও ব্ল্য়াক আউটের মতন বিষয় দেখা গেছে।
মহাকাশ পদার্থবিদ্যার অধ্য়াপক ম্যাথিউ ওয়েন্স এই প্রসঙ্গে বলেন, সৌরপৃষ্ঠে এমন গর্তের দেখা পাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয় ৷ কারণ, সূর্য এখন তার ক্রিয়াশীলতার চরম পর্যায়ে রয়েছে ৷ সাধারণত, প্রতি ১১ বছর অন্তর এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় ৷ মাথিউয়ের কথায়, "এই গর্তটি নিরক্ষরেখায় অবস্থান করছে ৷ তাই একটি বিষয় নিশ্চিত যে, কয়েকদিন পরই আমরা পৃথিবীতে কিছু তীব্র হাওয়া অনুভব করতে পারব ৷ তবে, এর ফলে বড় কোনও সমস্যা তৈরি হবে কি না, সেটা এখনই বলা সম্ভব নয় ৷"