নয়াদিল্লি: গনগনে আগুনের গোলক। তার মধ্যে একচিলতে অন্ধকার। দেখলে মনে হবে, এক খাবলা মুঠোয় ভরে হয়ত তুলে নিয়েছে কেউ। সূর্যের গায়ে এমনই অন্ধকার অংশ চোখে পড়ল টেলিস্কোপে, যা আয়তনে পৃথিবীর চেয়ে প্রায় ২০ গুণ বড় বলে অনুমান বিজ্ঞানীদের (Giant Hole on Sun)।


আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার চোখে পড়েছে সেটি


সূর্যের গায়ে তৈরি হওয়া ওই অন্ধকার অংশকে আপাতত ‘সৌরগহ্বর’ বলে উল্লেখ করছেন বিজ্ঞানীরা। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার (NASA) চোখে পড়েছে সেটি। আমেরিকার আবহাওয়া এবং বায়ুমণ্ডল নিয়ে গবেষণা করা সংস্থা ন্যাশনাল ওশিয়ানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (NOAA) যদিও যদিও বিপদের ইঙ্গিত দিচ্ছে (Solar Danger)।


NOAA-র তরফে প্রবল শক্তিশালী সৌরঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে (Geomagnetic Storm)। বলা হচ্ছে, ওই অন্ধকার অংশ আর কিছুই নয় বরং পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা প্রবল বেগের সৌরবাতাসের স্থান পরিবর্তনের ফলে সৃষ্টি হওয়া শূন্যতা।  ঘণ্টায় প্রায় ২৯ লক্ষ তিলোমিটার গতিতে সৌরঝড় পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের একাংশের। শুক্রবার সেটি পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


আরও পড়ুন: Maruti Suzuki Jimny: প্রথম পর্যায়ে ৯টি শহরে দেখা যাবে মারুতি জিমনি, ২৬ মার্চ থেকে রয়েছে ডিলারশিপে


এই মুহূর্তে পরিস্থিতিরর উপর নজর রয়েছে বিজ্ঞানীদের। পৃথিবীর উপর প্রবল শক্তিশালী সৌরঝড় আছড়ে পড়লে, তার প্রভাব কতটা হতে পারে, তা নিয়ে চলছে আলোচনা। তবে সৌরঝড়ের সঙ্গে নেমে আসা কণা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করলে, পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্র, স্যাটেলাইট, মোবাইল, ইন্টারনেট, জিপিএস পরিষেবা তার দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে।


গত ২৩ মার্চ নাসার সোলার ডায়নামিক্স অবজারভেটরি সূর্যের দক্ষিণ মেরুতে ওই সৌরগহ্বর প্রথম দেখতে পায়। ওই গহ্বরের মধ্যে দিয়েই মহাকাশে তীব্র গতিতে ধাবিত হয় সৌরঝড়। তীব্রতার নিরিখে তাকে G1 থেকে G5 পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরে ভাগ করা হয়। সদ্য আবিষ্কৃত এই সৌরগহ্বরের আয়তন ৩ থেকে ৪ লক্ষ কিলোমিটার বলে জানা যাচ্ছে। অর্থাৎ পর পর ২০ থেকে ৩০টি পৃথিবীকে রাখলে যে আয়তন পাওয়া যাবে, তার সমান।


সূর্যের গায়ে যে কোনও সময় এই ধরনের গহ্বর দেখা যেতে পারে


নাসা-র দাবি অনুযায়ী, সূর্যের গায়ে যে কোনও সময় এই ধরনের গহ্বর দেখা যেতে পারে। তবে সাধারণত উত্তর এবং দক্ষিণ মেরুতেই বেশি করে চোখে পড়ে। দেখতে কালো মনে হয় কারণ ওই গহ্বরগুলি অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা হয় এবং ঘনত্বও তুলনামূলক কম। মুক্ত ওই গহ্বরগুলির চৌম্বকীয় ক্ষেত্রও হয় একমুখী।