নয়াদিল্লি: অভিযান শুরু হতেও বেগ পেতে হয়েছিল। পৃথিবীতে ফিরতেও বেগ পেতে হচ্ছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত নভোশ্চর সুনীতা উইলিয়ামসকে। মহাকাশযানে প্রযুক্তিগত ত্রুটির জেরে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে পৃথিবীতে ফিরতে সুনীতার আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA. পৃথিবীতে সুনীতার ফিরে আসার জন্য় নতুন দিন হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। সেই নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। মহাকাশে কতদিন তাঁকে আটকে থাকতে হবে, আদৌ নিরাপদে ফিরতে পারবেন কি না, উঠছে প্রশ্ন। NASA যদিও আশ্বস্ত করছে সকলকে। (Sunita Williams)


অত্যাধুনিক CST-200 Boeng Starliner মহাকাশযানে চেপে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের উদ্দেশে রওনা দেন সুনীতা এবং তাঁর সহযাত্রী ব্যারি 'বুচ' উইলমোর। গত ৫ জুন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পৌঁছন তাঁরা। মোট ১০ দিন সেখানে গবেষণার কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু মহাকাশযানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় তাঁদের ফেরার সময় ক্রমশ পিছিয়ে গিয়েছে। (NASA News)


NASA-র তরফে জানানো হয়েছে, আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে নিরাপদে রয়েছেন সুনীতা এবং ব্যারি। আরও সাত নভোশ্চর রয়েছেন সেখানে। যে হোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযানটিতে চেপে সুনীতা এবং ব্যারি সোখানে পৌঁছন, তাতেই গোলযোগ দেখা দিয়েছে। পৃথিবীতে ফেরার জন্য  ওই মহাকাশযানে থ্রাস্টার হিসেবে ২৮টি ছোট রকেট ব্যবহার করা হবে। ওই রেকটগুলি থেকেই ছিদ্রপথে বার বার হিলিয়াম বেরিয়ে আসছে বলে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত পাঁচ বার এই ঘটনা ঘটেছে। পৃথিবীতে নিরাপদে ফিরতে ১৪টি থ্রাস্টার ঠিক থাকা জরুরি।


আরও পড়ুন: Double Sun Halo: সূর্যকে ঘিরে জোড়া জ্যোতির্বলয়, ভারতের আকাশেই বিরল মহাজাগতিক দৃশ্য


গত ১৪ জুন পৃথিবীতে ফেরার কথা ছিল সুনীতা এবং ব্যারির। পরে তা পাল্টে ২৬ জুন করা হয়। কিন্তু বর্তমানে যা পরিস্থিতি, তাতে ২৬ জুনও ফেরা হবে না তাঁদের। কবে তাঁরা পৃথিবীতে ফিরতে পারবেন, তা এখনও খোলসা করেনি NASA. তারা জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন এখনই ছাড়তে হবে বলে কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। খাবারদাবার এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যথেষ্ট জোগান রয়েছে সেখানে। 


এই মুহূর্তে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে NASA. আগামী সোম এবং মঙ্গলবার মহাকাশে সুনীতা এবং ব্যারিকে স্পেসওয়াকে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। তাই মহাকাশে প্রায় একমাস সুনীতা এবং ব্যারিকে কাটাতে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। গোড়া থেকেই এই অভিযানে বার বার বিপত্তি দেখা দিয়েছে। প্রথমে অভিযানের বাজেট ছিল ৪২০ কোটি ডলার। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ৫৩০ কোটি ডলার খরচ হয়ে গিয়েছে। অথচ অভিযানও সম্পূর্ণ হয়নি। যান্ত্রিক গোলযোগের জেরে একাধিক বার উড়ানও স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। এখন আবার ফিরতে গিয়ে বিপত্তি।