নয়াদিল্লি: ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল আগেই। সেই মতোই পৃথিবীতে ফেরার তোড়জোড় শুরু করে দিলেন সুনীতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সহযাত্রী ব্যারি বুচ উইলমোর। জিনিসপত্র সব গুছিয়ে উঠেও পড়েছেন পৃথিবীতে ফেরার মহাকাশযানে। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। Crew-9 মহাকাশযান তাঁদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে চলেছে। সবমিলিয়ে ১৭ ঘণ্টার যাত্রাপথ। ভারতের সময় অনুযায়ী, মঙ্গল-বুধের ভোররাত ৩টে বেজে ২৭ মিনিটে পৃথিবীতে নামবেন সুনীতারা। (Sunita Williams Homecoming)
ইলন মাস্কের সংস্থা SpaceX-এর মহাকাশযান Crew-9. দীর্ঘ সাড়ে ন'মাস ধরে মহাকাশে আটকে থাকা সুনীতা এবং ব্যারিকে নিয়ে পৃথিবীতে ফিরবে সেটি। পাশাপাশি, NASA-র আর এক মহাকাশচারী নিক হেগ এবং রাশিয়ার ROSCOSMOS-এর নভোশ্চর অলেকজান্ডার গরবুনভকেও পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনবে ওই মহাকাশযান। এতদিন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে নোঙর করা ছিল Crew-9 মহাকাশযানটি। মহাকাশযানটিসেখান থেকে আলাদা হয়ে পৃথিবীর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে।। (Sunita Williams)
এখনও পর্যন্ত যা খবর, আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে আলাদা হওয়ার পর ধীরে ধীরে কক্ষপথ ছেড়ে পৃথিবীর দিকে নামবে Crew-19 মহাকাশযানটি। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ভেদ করে ধীরে ধীরে নেমে আসবে। ফ্লোরিডা উপকূলে, আটলান্টিক মহাসাগরে অবতরণ করবে মহাকাশযানটি। তবে সরাসরি আটলান্টিক মহাসাগরে অবতরণ করবে না মহাকাশযানটি। ঘণ্টায় ৩২ কিলোমিটার গতিতে নেমে আসবে মহাকাশযানটি। আটলান্টিক মহাসাগরে সেটিকে নামতে সাহায্য় করবে দু'টি প্যারাশুট। সেখান থেকে মহাকাশচারীদের উদ্ধার করবে SpaceX-এর জাহাজ।
গত বছর জুন মাসে আট দিনের সফরে মহাকাশ অভিযানে গিয়েছিলেন সুনীতা এবং ব্যারি। কিন্তু মহাকাশযান বিকল হওয়ার দরুণ সময়ে পৃথিবীতে ফেরা হয়নি তাঁদের। তার পর নয় নয় করে সাড়ে ন'মাস কেটে গিয়েছে। এতদিনে পৃথিবীতে ফিরছেন সুনীতা ও ব্যারি। সবমিলিয়ে মহাকাশে ২৮৬ দিন কাটিয়েছেন তাঁরা। যদিও মহাকাশে সবচেয়ে বেশি দিন থাকার রেকর্ড হাসিল করতে পারলেন না সুনীতা এবং ব্যারি। এর আগে রাশিয়ার নভোশ্চর ভ্যালেরি পলিয়াকভ মহাকাশে ৪৩৭ দিন কাটিয়েছিলেন। ফ্র্যাঙ্ক রুবিও মহাকাশে ছিলেন ৩৭১ দিন।
পৃথিবীতে ফিরেই নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যেতে পারবেন সুনীতারা। মহাকাশ থেকে ফেরার পর মহাকাশচারীদের প্রথমে কিছু দিন কোয়রান্টিনে রাখা হয়। মহাকাশ থেকে কোনও জীবাণু বা সংক্রমণ নিয়ে ফিরলে, তা যাতে ছড়াতে না পারে, তার জন্যই এমন নিয়ম। এবারের অভিযানটি সুনীতা এবং ব্যারির তৃতীয় মহাকাশ অভিযান ছিল।