নয়াদিল্লি: মাত্র এক সপ্তাহ-১০ দিনের অভিযানে গিয়ে নয় নয় করে ৫২ দিন পার। এখনও মহাকাশে আটকে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নভোশ্চর সুনীতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সহযাত্রী ব্যারি বুচ উইলমোর। ঠিক কবে নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা যাবে তাঁদের, এখনও পর্যন্ত দিন ক্ষণ জানাতে পারেনি আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA. তবে এর মধ্যে একটি কবরই আশা জোগাচ্ছে, যা হল, বোয়িং স্টারলাইনারের মহাকাশযানটির থ্রাস্টার পরীক্ষায় সাফল্য মিলেছে। (Sunita Williams)


এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের আশ্রয়ে রয়েছেন সুনীতা এবং ব্যারি। আর আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনেই নোঙর করা রয়েছে বোয়িং স্টারলাইনারের মহাকাশযানটিকে। ওই মহাকাশযানটিতে যান্ত্রিক গোলযোগের জেরে, থ্রাস্টার কাজ না করাতেই মহাকাশে আটকে যান সুনীতা এবং ব্যারি। সম্প্রতি ফের পরীক্ষা চালানো হয়, তাতে মহাকাশযানের ২৭টি থ্রাস্টার চালু করার চেষ্টা হয়। এর মধ্যে পিছনের থ্রাস্টারগুলিকে পর্যায়ক্রমে ১.২ সেকেন্ড করে এবং অন্যগুলিকে ০.৪ সেকেন্ড করে চালু করা হয়। (Science News)


পরীক্ষায় ভাল ফল মিলেছে বলে জানিয়েছে NASA. প্রায় সবক'টি থ্রাস্টারই সর্বোচ্চ ক্ষমতায় কাজ কাজ করেছে, ৯৭ থেকে ১০২ শতাংশ পারফর্ম করেছে বলে বলে জানানো হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন হিলিয়াম প্রযুক্তিও একেবারে স্থিতিশীল অবস্থায় কাজ করছে হলে জানা গিয়েছে, আগে যা থেকে তরল চুঁইয়ে পড়ছিল। বোয়িং ইঞ্জিনিয়ার এবং ফ্লাইট ডিরেক্টর ক্লোয়ি মেহরিং-এর তদারকিতে পরীক্ষা চালানো হয়। 


আরও পড়ুন: Body Scars: সরাজীবন শরীরে থেকে যায় ক্ষতের দাগ, কারণ জানেন?


মেহরিং জানিয়েছেন, বোয়িং স্টারলাইনার এবং আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের সকলে একসঙ্গে অত্যন্ত ভাল কাজ করেছেন। পরীক্ষার ফলাফলে সকলেই খুশি। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার নোঙর থাকা অবস্থায় হট ফায়ার পরীক্ষা করে দেখা হল মহাকাশযানটিকে, যা ভবিষ্যৎ মহাকাশ অভিযাবের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 


পরীক্ষার সময় বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযানটিতেই ছিলেন সুনীতা এবং ব্যারি। পৃথিবীতে ফেরার আগে আগামী সপ্তাহে পর পর দু'টি পরীক্ষা চালাবেন তাঁরা, যার আওতায় নোঙর খুলে মহাকাশযানটিকে অবতরণ করানোর অনুকরণ করবেন তাঁরা। তবে ঠিক কবে সুনীতা এবং ব্যারিকে পৃথিবীতে নিরাপদে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে, এখনও পর্যন্ত কিছু জানায়নি NASA. তবে ফেরার ব্যাপারে আশাবাদী সুনীতা। মহাকাশে বিভিন্ন গবেষণাও চালাচ্ছেন তিনি এবং ব্যারি। যদিও গোটা ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়ছে NASA এবং বোয়িং স্টারলাইনার।