নয়াদিল্লি: পালকের মতো চাঁদের মাটি ছুঁলেও, সেখান থেকে ফেরার উপায় আপাতত নেই। সেই আবহেই চন্দ্রপৃষ্ঠে বিশ্রামরত অবস্থায় থাকা চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানের ল্যান্ডার 'বিক্রম' এবং রোভার 'প্রজ্ঞানে'র ছবি সামনে এল। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO বিশ্রামরত 'বিক্রম' এবং 'প্রজ্ঞানে'র ছবি সামনে আনল। এবছর ১৫ মার্চ ক্যামেরাবন্দি করা গিয়েছে তাদের। (Vikram and Pragyan)
ISRO-র তোলা ওই ছবি সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন স্বাধীন ভাবে মহাকাশ গবেষণার সঙ্গে যুক্ত চন্দ্র তুঙ্গাতুর্থী। ২০২৩ সালের ২৩ অগাস্ট চাঁদের বুকে অবতরণ করে ভারতের চন্দ্রযান-৩। সেই সময় যে ছবি সামনে এসেছিল, তার থেকে এই ছবি অনেক বেশি স্পষ্ট। কারণ ওই মাটির বেশ কাছাকাছি অবস্থান থেকে তোলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। (Chandrayaan-3 Mission)
জানা গিয়েছে, চন্দ্রপৃষ্ঠের ৬৫ কিলোমিটার উপর থেকে ওই ছবি তোলা হয়েছে। রেজলিউশন ছিল প্রতি পিক্সেলে ১৭ সেন্টিমিটার করে। এর আগে, চাঁদের মাটি ছোঁয়ার পর 'বিক্রম' এবং 'প্রজ্ঞানে'র যে ছবি তোলা হয়েছিল, সেটি ১০০ কিলোমিটারের বেশি উচ্চতা থেকে তোলা হয়েছিল, রেজলিউশন ছিল প্রতি পিক্সেলে ২৬ সেন্টিমিটার করে।
আরও পড়ুন: Map of Moon: চাঁদের মানচিত্র প্রকাশ করে সাড়া ফেলল চিন, তথ্য জুগিয়ে সাহায্য করল ভারতের চন্দ্রযান-১
আগের এবং পরের তোলা ছবি পাশাপাশি রাখলেও ফারাক স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। নয়া ছবিতে আকারে তুলনামূলক ছোট, রোভার 'প্রজ্ঞান'কেও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথন পদার্পণকারী দেশ, ভারতের হয়ে সেটি এদিক ওদিক ঘুরে নমুনা সংগ্রহ করে।
গত বছর ২৩ অগাস্ট পালকের মতো চাঁদের মাটি স্পর্শ করে ভারতের চন্দ্রযান-৩, তাতে চাঁদের মাটি ছোঁয়া চতুর্থ দেশের স্বীকৃত পায় ভারত, সোভিয়েত ইউনিয়ন, আমেরিকা এবং চিনের পরেই। পাশাপাশি পালকের মতো চাঁদের মাটি স্পর্শ করা প্রথম দেশ হিসেবে উঠে আসে। চন্দ্রাভিযানের ইতিহাসে পাকাপাকি জায়গা করে নেয় ভারত।
পৃথিবীর হিসেবে তাঁদের বুকে ১৪ দিন কাজ করে 'বিক্রম' এবং 'প্রজ্ঞান'। চাঁদের পরিবেশ সম্পর্কে বিশদ ধারণা গড়ে ওঠার জন্য় প্রয়োজনীয় নমুনা, তথ্য সংগ্রহ করে তারা। চন্দ্রযান-৩ অভিযানের এই সাফল্যের পর আরও নয়া উদ্যমে মহাকাশ অভিযানের কাজে হাত লাগিয়েছে ISRO. ISRO প্রধান এস সোমনাথ জানিয়েছেন, চন্দ্রযান-৪ অভিযানের প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। চন্দ্রাভিযান নিয়ে ভারতীয় বিজ্ঞানীদের আরও বড় পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।