কলকাতা: আমরা সবাই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যাপারে ভয় পাই। কেউ বিশেষ কোন প্রাণী বা কীটপতঙ্গ দেখলে ভয় পায়। কেউ ভৌতিক বিষয় কল্পনা করে ভয় পায়, কারও মনে প্রতিনিয়ত ভর করে সম্ভাব্য বিপদ বা অসুখ-বিসুখের ভয়। ভয়ের অনুভূতি হয়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ভয় পাওয়া কোন দোষের কিছু নয়। বরং ভয়কে মোকাবিলা করতে শেখা প্রয়োজন। আর এই ভীতির প্রভাব শুধু মনে নয়, শরীরেও পড়ে অত্যন্ত স্পষ্টভাবে।


ভয়কে জয় করতে আমাদেরকে এই ভীতিজনিত শারীরিক প্রভাব আর তা সামলানোর কায়দা জানতে হবে৷ ভয়ের অনুভূতিটা আসলে কোথায় হয়? বুকে, পেটের ভেতরে নাকি মাথায়? আসলে এই সব জায়গায়ই কিন্তু প্রচন্ড অস্বস্তি বোধ হয় ভয়ের কারণে। আমরা এজন্যই হয়তো বুকে সাহস রাখার কথা বলি আমরা। বিজ্ঞান বলে, ভয় বা সাহস আসলে মস্তিষ্কেরই খেলা। অথচ শরীরের বিভিন্ন অংশে আমরা এর অস্তিত্ব অনুভব করি। প্রভাব বুঝতে পারি।               


নিউরোবিশেষজ্ঞরা বলেন, ভয় যে শুধু কোন দুর্ঘটনায় পড়লে বা এমন কিছু হলেই হয়, তা নয়। আমাদের নিত্যদিনের জীবনে দুশ্চিন্তার ভারও এই ভয়ের মধ্যে পড়ে। আমরা যখন ভয় পাই, আমাদের আমাদের মস্তিষ্কের অ্যামিগডালা নামের অংশে প্রথম প্রভাব পড়ে। কানের কাছে ব্রেনের ছোট, কাঠবাদাম আকৃতির এই অংশ পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া নির্ধারণের কাজ করে। আর ভয় বা ঝুঁকি চিনে নেওয়ার কাজটি এই অনুভূতি মোকাবিলার প্রথম ধাপ।


এ অংশটি ব্রেনের সঙ্গে মিশে গিয়ে এমনভাবে কাজ করে যেন যেকোনো বিপদ না ভয়ের কারণ হলেই তাৎক্ষণিকভাবে আমরা পদক্ষেপ নিতে পারি। আর মস্তিষ্কের আরও বিভিন্ন অংশ সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নেয় ভয়ের কিছু হলে। 


ভয় পেলে আরও যে জিনিসটি হয়, তা হলো, বিভিন্ন হরমোন প্রবাহিত হওয়া। আর মস্তিষ্কের পাঠানো সিগনালের কারণে বুক-পেটের পেশিতে টানটান অনুভূতি জাগে, যাতে আমাদের আভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সুরক্ষিত থাকে।


অ্যাড্রেনাল গ্ল্যান্ড থেকে অ্যাড্রিনালিন হরমোন নিঃসরণের ফলে। আর এতে হৃৎস্পন্দন বাড়ে। শরীরের পেশিতে আলাদা রকমের শক্তি পাওয়া যায়৷ এর জন্য যথেষ্ট রক্ত প্রবাহের প্রয়োজনেই হৃৎপিণ্ড জোরে চলে। স্নায়ুতন্ত্রের প্রতিক্রিয়ায় শ্বাস-প্রশ্বাস চলে দ্রুত। আর এসময় অন্ত্রের কাজ ধীরগতিতে চলে৷ পেটে এজন্য অস্বস্তি অনুভব হয়।       


 


ডিসক্লেমার: এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে এবিপি লাইভ কোনও ধরনের বিশ্বাস, তথ্য সমর্থন করে না। কোন তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।