তাইল্যান্ডের অন্যতম বড় ও উন্নত শহর হল ব্যাঙ্কক। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর পর্যটক ভিড় করেন এই শহরে। তবে, আধুনিকতার পাশাপাশি আজও ব্যাঙ্কক নিজস্ব ঐতিহ্য ও শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহাসিক স্থাপত্য বজায় রেখেছে।


আপনি এমন কোনও ভ্রমণে যেতে চাইছেন, যা ভিন্ন হবে এবং একইভাবে পকেটের ওপর বেশি চাপ ফেলবে না—তাহলে ব্যাঙ্ককই হল আপনার আদর্শ গন্তব্য। তবে কম খরচ হলেও, বিলাসবহুলতার সঙ্গে আপস করতে হবে না আপনাকে।



ব্যাঙ্ককের মন্দির ও সংস্কৃতির সঙ্গে ভারতের অনেকটাই মিল রয়েছে। এমনকী, এখানকার খাবারদাবারও ভারতীয়দের পছন্দ অনুসারে রাখা হয়েছে। কারণ, এখানে আগত পর্যটকদের একটা বড় অংশ ভারত থেকে আসেন।


ব্যাঙ্ককে গিয়ে কী কী করবেন, কোথায় থাকবেন, সেখানে কী কী দেখার জায়গা রয়েছে, তার একটা ছোট্ট তালিকা নীচে দেওয়া হল। ব্যাঙ্কক ভ্রমণ পুরোমাত্রায় উপভোগ করুন। এতে বিশ্বস্ত পরিষেবা প্রদানকারীদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যাত্রা সহজ করতে রয়েছে কলকাতা থেকে উড়ান! ব্যাঙ্কক আর কলকাতা- মহাদেশের দুটি মহানগর সারা বিশ্ব থেকে লক্ষ লক্ষ পর্যটকদের আকর্ষণ করে।


সাইক্লিং ট্যুর ব্যাঙ্কক ট্রেইল্স-



ব্যাঙ্ককে একাধিক গোপন রাস্তা রয়েছে। কোথাও ঘন জঙ্গল, তো কোথাও খালের ধার দিয়ে চলে গিয়েছে সেই রাস্তা। সেখান দিয়ে সাইক্লিং করে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারেন।


আয়ুত্থায়া সাইটসিং ও ব্যাঙ্কক ক্রুজ-



আপনি যদি তাই, চিনা, ইতালীয় ও ভিক্টোরিয়ান ঘরানার স্থাপত্য দর্শন করতে চান, তাহলে সেই ট্যুর শুরু হয় সকাল ৭টা নাগাদ। দেখতে পাবেন বাং পা-ইন সামার প্যালেস, আয়ুত্থায়া। এছাড়া, শহরের বহু প্রাচীন মন্দির ও তার ধ্বংসাবশেষও দেখতে পাবেন। পাশাপাশি, ওয়াত মাহা তাত ও ওয়াত না ফ্রা মানের চোখ-ধাঁধানো দর্শনীয় স্থানগুলির দেখা মিলবে।


চায়না টাউন-



ব্যাঙ্কক গেলে খানাপিনার জন্য আপনাকে তো চায়না টাউন যেতেই হবে। শহরের সেরা খাবার অত্যন্ত সুলভ দামে এখানেই পাওয়া যায়। পাখির বাসার স্যুপ থেকে শুরু করে পিকিং ডাক ও রোস্টেড চেস্টনাট— এমন সবকিছুই পাবেন এখানে যা আপনার জিহ্বাকে নতুন স্বাদের মাত্রা এনে দেবে।


তাই ম্যাসাজ-



দেশে তো বহু জায়গায় তাই ম্যাসাজ হয়। কিন্তু, এই বিশেষ ম্যাসাজের জন্ম যেখানে, সেখানে গিয়ে ম্যাসাজ না নিলে খামতি থেকেই যাবে।


ব্যাঙ্ককের স্ট্রিট ফুড-



ব্যাঙ্ককের প্রত্যেক জনবহুল রাস্তার ধারে আপনি ফুড স্টল পাবেন। পর্যটক থেকে স্থানীয়রা—সকলেই সেখান থেকে খান। দামও অত্যন্ত কম। প্যাড তাই-এর নাম সকলেই শুনেছেন। কিন্তু, এই বিশেষ পদ ছাড়াও আরও হরেক কিসমের খাবার এখানে পাওয়া যায়। যেমন—সম ট্যাম (পেঁপের স্যালাড) থেকে শুরু করে স্ক্যুইড—সবকিছুই তৈরি হবে আপনার সামনেই।


ব্যাঙ্ককের নাইটলাইফ-



নাইটলাইফের জন্য বিখ্যাত ব্যাঙ্কক। এখানে রয়েছে আকর্ষণীয় নাইট ক্লাব, দারুন রুফটপ বার, হিপ ককটেল বার এবং আরও অনেক কিছু।


ওয়াত অরুণ (টেম্পল অব ডন)-



ব্যাঙ্ককের অন্যতম সেরা দর্শনীয় স্থান হল ওয়াত অরুণ বা সূর্যোদয়ের মন্দির। চাও ফ্রায়া নদীর পশ্চিম পাড়ে এই বৌদ্ধ মন্দিরটি রয়েছে। এটি তাইল্যান্ডের অন্যতম সুন্দর মন্দির। শুধু তাই নয়, ছবি তোলার নিরিখে দেশের দ্রষ্টব্য স্থানগুলির তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে এই মন্দির। তাই ব্যাঙ্কক সফরে এলে এই ওয়াত (মন্দির) দর্শন করতেই হবে।


গ্র্যান্ড প্যালেস-



ব্যাঙ্ককের একেবারে কেন্দ্রে চাও ফ্রায়া নদীর পাড়ে অবস্থিত এই গ্র্যান্ড প্যালেস। প্রতিবছর এই প্যালেস দর্শন করতে আসেন লক্ষ লক্ষ পর্যটক। তাই ও ইউরোপীয় স্থাপত্যের মেলবন্ধনে তৈরি এই প্যালেস সিয়ামের রাজপরিবারের বাসস্থান ছিল।