কলকাতা: ভুয়ো পরিচয়পত্র জমা দিয়ে বাংলার বিভিন্ন ক্লাবে ক্রিকেট খেলার অভিযোগ বহুদিনের। বাইরের রাজ্য থেকে এসে স্থানীয় পরিচয়পত্র বানিয়ে প্রথমে সিএবি-র ক্লাব ক্রিকেটে এবং পরে বাংলার বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলে খেলার অভিযোগ উঠেছে একাধিক ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে। এবার কঠোর মনোভাব দেখাল সিএবি। ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে খেলার অভিযোগে চিহ্নিত করা হল ৬৫ জন ক্রিকেটারকে। তাঁদের মধ্যে ৪৫ জন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিশদে তদন্ত করে দেখা হবে। যতদিন না ক্লিনচিট পাচ্ছেন, সিএবি-র কোনও টুর্নামেন্টে খেলতে পারবেন না তাঁরা।
শুক্রবার সিএবি-র অ্যাপেক্স কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্তেই সিলমোহর পড়ল। সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া ও সচিব স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে এদিন সিএবি-র আধিকারিকরা ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে খেলা নিয়েই বৈঠকে আলোচনা করেন। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, এবার এই জালিয়াতি বন্ধ করতে সিএবি বায়োমেট্রিক কোড চালু করতে চলেছে ক্রিকেটারদের জন্য। নথিজনিত সমস্যা মেটানোর জন্য সিএবি ফের একবার প্লেয়ারদের সুযোগ দেবে।
সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া বলেন, 'কেউ ভুয়ো নথিপত্র জমা দিলে কোনওরকম সহনশীলতা দেখানো হবে না। আমাদের ভেরিফিকেশন সেলের তদন্তে ৬৫ জন প্লেয়ারের নাম উঠে এসেছে, যাদের ভুয়ো পরিচয়পত্র রয়েছে। আগামী মরসুম শুরু হওয়ার আগে ফের একবার নথি যাচাই করা হবে।'
সিএবি সচিব স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'আমরা কোনওভাবেই বিতর্কিত পরিচয়পত্র গ্রহণ করব না। জালিয়াতি রুখতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যারা এরকম কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকবে তাদের বিরুদ্ধেও কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া হবে।'
পাশাপাশি এদিনের বৈঠকে অভিষেক বাকি সদস্যদের প্রস্তাব দিয়েছেন, বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটারদের জন্য ক্লাবহাউসে একটি ঘর বরাদ্দ করার জন্য। পাশাপাশি সিএবি-র প্রাক্তন কর্তাদের জন্যও একটি ঘর বরাদ্দ করার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেট মরসুম শুরু হওয়ার আগে দ্রুত গতিতে ইডেন গার্ডেন্স, সল্টলেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মাঠ ও কল্যাণীর বেঙ্গল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির মাঠ প্রস্তুত করে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আড়াই হাজার ক্রিকেটপ্রেমীকে সিএবি-র লাইফ মেম্বারশিপ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে।