নয়াদিল্লি: অভিনব বিন্দ্রা ভারতের ক্রীড়া জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। তাঁর নাম শুনলেই প্রত্যেক ভারতীয়র বুকও গর্বে ভরে ওঠে। ২০০৮-এর অলিম্পিক্সে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলসে সোনা জিতে ইতিহাস গড়েছিলেন অভিনব বিন্দ্রা। অলিম্পিক্সে ভারতীয় ক্রীড়াবিদ হিসেবে ব্যক্তিগত ইভেন্টে প্রথম সোনার পদক জয়ের রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। 


১৯৮২-তে আজকের দিনেই জন্ম অভিনব বিন্দ্রার। ছোটবেলার টেলিভিশনের পর্দায় শ্যুটারদের দেখেই শ্যুটিং-সফর শুরু হয়েছিল পাঁচবারের এই অলিম্পিয়ানের। 
প্রতিভা, কঠোর পরিশ্রম ও দৃঢ় সংকল্প মনোভাবের কারণে অল্পদিনেই শ্যুটিং-বিশ্বে নিজের জায়গা করে নিয়েছিলেন অভিনব বিন্দ্রা। মাত্র ১৫ বছর বয়সে  ১৯৯৮ তে কমনওয়েলথ গেমসে ভারতের প্রতিনিধিত্বের জন্য তাঁকে বেছে নেওয়া  হয়েছিল। এরপর তিনি ২০০০ সালে ভারতের কনিষ্ঠতম প্রতিযোগী হিসেবে সিডনি অলিম্পিক্সে অংশগ্রহণ করেছিলেন। 


অলিম্পিক্সে সোনার পদক জয়ের পাশাপাশি তিনি ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতেছিলেন।এছাড়াও কমনওয়েলথ ও এশিয়ান গেমসেও তিনি বেশ কয়েকটি পদক জিতেছেন। 


আজ তাঁর ৩৯ তম জন্মদিনে তার সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য-


কৈশোরেই জাতীয় পুরস্কার


কৈশোরেই জাতীয় পুরস্কার জিতেছিলেন। ২০০০ সালে তিনি যখন অর্জুন পুরস্কার পেয়েছিলেন, তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৮। আর ক্রীড়াক্ষেত্রে দেশের সর্বোচ্চ পুরস্কার রাজীব খেলরত্ন পুরস্কার পেয়েছিলেন ২০০১-এ, তখন তাঁর বয়স ১৯। 


দেড়শোর বেশি মেডেল


২২ বছরের দীর্ঘ কেরিয়ারে ১৫০-এর বেশি পদক জিতেছেন অভিনব বিন্দ্রা। এর স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে পদ্ম ভূষণ পুরস্কার দেওয়া হয় ২০০৯ সালে। 


আত্মজীবনী



অভিনব বিন্দ্রার আত্মজীবনী- 'অ্যা শট অ্যাট হিস্ট্রি: মাই অবসেসিভ জার্নি টু অলিম্পিক গোল্ড' প্রকাশিত হয়েছিল ২০১১-র অক্টোবরে। তৎকালীন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অজয় মাকেন এই গ্রন্থপ্রকাশ করেছিলেন। 


‘লেফটেন্যান্ট কর্নেল’ অভিনব বিন্দ্রা


২০১১-তে তাঁকে ভারতীয় টেরিটোরিয়াল আর্মির সাম্মানিক লেফটেন্যান্ট কর্নেল করা হয়। 



পড়াশোনা ও কর্মজগৎ
কোলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের স্নাতক অভিনব বিন্দ্রা। ‘অভিনব ফিউচারিস্টিকস প্রাইভেট লিমিটেডে’র সিইও তিনি। সেইসঙ্গে ‘অভিনব বিন্দ্রা ফাউন্ডেশেনের মাধ্যমে অ্যাথটিলটদের নিখরচায় ক্রীড়া ও হাই পারফরম্যান্স শারীরিক প্রশিক্ষণের সুবিধা দেওয়া হয়।