সন্দীপ সরকার, কলকাতা: দ্বিতীয় উইকেটে অভিমন্যু ঈশ্বরণের সঙ্গে ১৩৬ রানের পার্টনারশিপ গড়ার পর যখন সুদীপ কুমার ঘরামি আউট হয়ে ফিরছেন, লক্ষ্মীরতন শুক্লকে দেখা গেল বাউন্ডারি লাইনের ধারে দাঁড়িয়ে হাততালি দিচ্ছেন (Ben vs Jha)। বাংলার স্কোর তখন ১৪৭/২। ঝাড়খণ্ডের প্রথম ইনিংসের স্কোর পেরিয়ে যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা (Eden Gardens)।
রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে দিনের শেষে অবশ্য খুব একটা স্বস্তিতে নেই বাংলা। কারণ, ২৩৮ রানে ৫ উইকেট পড়ে গিয়েছে। ঝাড়খণ্ডের প্রথম ইনিংসের চেয়ে মাত্র ৬৫ রানের লিড। যেখানে একটা সময় মনে করা হচ্ছিল অন্তত দুশো রানের লিড নিতে পারে বাংলা। দ্বিতীয় উইকেট পার্টনারশিপের সুবিধা কি হারাল বাংলা?
অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি বলছেন, 'যতটা ভাল জায়গায় ছিলাম, দিনের শেষটা ততটা ভাল হয়নি। আমাদের পরপর কয়েকটা উইকেট পড়েছে। অভিমন্যু ও সুদীপ দারুণ ব্যাট করছিল। অনুষ্টুপ ক্রিজে সেট হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ওর দুর্ভাগ্য। সারাদিন একটাই বল ঘুরল আর সেটাতেই ও আউট হয়ে গেল।'
যদিও এখান থেকেও বড় লিডের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না মনোজ। বলছেন, 'হাতে এখনও পাঁচজন ব্যাটার রয়েছে। যাদের মধ্যে চারজনের ব্যাটের হাত ভাল। তারা যদি প্রত্যেকে ২৫ রান করেও করতে পারে, আমরা দেড়শো রানের লিড নেব। আপাতত বৃহস্পতিবার সকালে প্রথম ঘণ্টা সতর্কভাবে খেলে দেওয়াই লক্ষ্য। এমন নয় যে, আমরা পিছিয়ে পড়েছি। বরং ৬৫ রানের লিড রয়েছে আমাদেরই। আমি ইতিবাচক। সেমিফাইনালে আমরাই যাব।'
এই ম্যাচে কাজি জুনেইদ সইফিকে ওপেনার হিসাবে খেলিয়েছে বাংলা। তিনি রান পাননি। ২৪ বলে মাত্র ১ রান করে ফেরেন। অভিমন্যু ৭৭ ও সুদীপ ঘরামি ৬৮ রান করেন। অনুষ্টুপ (২৫) ও মনোজ (১৩) দুজনই ক্রিজে সেট হয়ে গিয়েও আউট হয়েছেন। ঝাড়খণ্ডের ১৭৩ রান তাড়া করতে নেমে দিনের শেষে বাংলা ২৩৮/৫। ২৫ রান করে অপরাজিত অভিষেক পোড়েল। শাহবাজ আমেদ ১৭ রান করে ক্রিজে।
বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল বলছেন, 'ক্রিকেটে কখন কী হয় বলা যায় না। আমরা ভালই খেলেছি। তবে ৫ উইকেট না পড়লেই ভাল হতো। খেলা এখনও অনেক বাকি রয়েছে। পাঁচদিনের ম্যাচ। আমরা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারাইনি। এখান থেকে একটা ভাল পার্টনিরশিপ ফের আমাদের চালকের আসনে বসিয়ে দেবে। বোলাররা ছন্দে রয়েছে। সরাসরি জয়ের জন্যই ঝাঁপাতে চাই আমরা।'
বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লও
আরও পড়ুন: প্রয়াত প্রাক্তন ফুটবলার পরিমল দে, শোকের ছায়া ময়দানে