সন্দীপ সরকার, কলকাতা: গত আইপিএলে (IPL) তাঁর অভিষেক হয়েছিল। ৫ ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়ে আর সাই কিশোর (R Sai Kishore) প্রমাণ করেছিলেন, তিনি বড় মঞ্চের জন্য প্রস্তুত। তাঁর দল গুজরাত টাইটান্স (Gujarat Titans) আইপিএলে আবির্ভাব ঘটিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। অধিনায়ক হিসাবে আইপিএল জিতেছিলেন হার্দিক পাণ্ড্য (Hardik Pandya)। যে দলের আর এক স্পিনার রশিদ খান (Rashid Khan)। যাঁকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বিশ্বের সেরা স্পিনার বলে মনে করা হয়।
আফগান তারকার সঙ্গে বোলিং করার অভিজ্ঞতা কেমন? রশিদ খানের থেকে কী-ই বা শিখলেন?
শুক্রবার আমদাবাদ থেকে জুম কলে এবিপি লাইভের প্রশ্নে আর সাই কিশোর বললেন, 'রশিদ দুর্দান্ত এক চ্যাম্পিয়ন। বছরের পর বছর ধরে সেটা ও প্রমাণ করে আসছে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ও বিশ্বের অন্যতম সেরা। রশিদের সঙ্গে বল করতে পারাটা আমার কাছে আশীর্বাদ।' তামিলনাড়ুর বাঁহাতি স্পিনার যোগ করলেন, 'স্পিনাররা জুটি হিসাবে ভাল খেলে। রশিদ রান দেয় না। উইকেটও তোলে। তাই ব্যাটার আমাকে আক্রমণ করার জন্য বেছে নেয়। সেটা আমার কাছে দারুণ এক ব্যাপার। সেখানে একটু বুদ্ধি খরচ করে বোলিং করলে ম্যাচে প্রভাব বিস্তার করার সুযোগ হয়ে যায়। রশিদের সঙ্গে বোলিং করা দারুণ অভিজ্ঞতা।'
তবে দুজনের মধ্যে যে বোলিং নিয়ে বেশি কথা হয় না, তা জানিয়েছেন কিশোর। বলেছেন, 'রশিদের সঙ্গে বোলিং নিয়ে খুব বেশি কথা হয় না। কারণ রশিদ সম্পূর্ণ অন্যরকম এক বোলার। ও ওর জায়গায় সেরা, আমি আমার জায়গায় ভাল। আমরা দুজন একসঙ্গে খুব ভাল বোলিং আক্রমণ গড়ে তুলেছি।'
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে বোলারদের, বিশেষ করে স্পিনারদের বধ্যভূমি মনে করা হয়। কী পরিকল্পনা নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে বোলিং করেন? এবিপি লাইভকে কিশোর বলছিলেন, 'টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আপনাকে স্মার্ট হতে হবে। দক্ষতার পাশাপাশি এটা মানসিক যুদ্ধও। কখন আক্রমণাত্মক বোলিং করব, কখন রক্ষণাত্মক, ব্যাটার এরপর কী করার চেষ্টা করবে, সব কিছু হয় ওই ২৪টি বলের মধ্যেই। ফলে এখানে লাল বলের ক্রিকেটের মতো বিলাসিতা দেখানোর জায়গা নেই। তাই প্রথম বল থেকেই নিশানায় অভ্রান্ত থাকতে হয়। বুদ্ধিদীপ্ত হতে হয়। এখানেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট আলাদা। বাকি সবই এক। শুধু স্মার্ট হতে হয়।' কিশোর যোগ করলেন, 'টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ম্যাচের পরিস্থিতি দ্রুত পাল্টে যায় এবং সেই অনুযায়ী বল করতে হয়। এখানেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগে। দ্রুত শিখে নিতে হয়। উন্নতি করে যেতে হয়।'