নয়াদিল্লি: কোন কোন বৈশিষ্ট্য থাকলে একটা দেশকে ক্রীড়াপ্রেমী দেশ বলা যায়? কোনও একটা গেমসে নৈপুণ্য বা কোনও একটা খেলা কি দেশকে ক্রীড়াপ্রেমী করে তুলতে পারে?


এ নিয়ে তর্ক চলতে পারে। তবে সকলে একটা বিষয়ে একমত হবেন যে, বিশ্বমঞ্চে ভারতের অ্যাথলিটরা তাঁদের মুন্সিয়ানার যে পরিচয় দিয়েছেন, তাতে গোটা দেশের ক্রীড়ানৈপুণ্য নিয়ে একটা ধারণা তৈরি করা যেতেই পারে।


ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে, ক্রীড়াজগতে অন্যতম শক্তিশালী দেশের তকমা পাওয়া অস্ট্রেলিয়ার দাপট রাতারাতি হয়নি। দীর্ঘকালীন ভিত্তিতে ভাল পারফরম্যান্সের জোরে তৈরি হয়েছে। ১৯৭৬ সালের মন্ট্রিয়ল অলিম্পিক্স। হাজারো প্রচেষ্টা সত্ত্বেও কোনও স্বর্ণপদক পেল না অস্ট্রেলিয়া। একটি রুপো ও চারটি ব্রোঞ্জ, সাকুল্যে ৫টি পদক নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় অস্ট্রেলিয়াকে। সেই ধাক্কায় নড়ে গিয়েছিল গোটা দেশ। তখনই সিদ্ধান্ত হয়, ব্যর্থতার ছবিটা পাল্টানোর জন্য কিছু একটা করতেই হবে। আত্মসমীক্ষায় বসেন অজি ক্রীড়া প্রশাসকেরা। তৈরি হয় অস্ট্রেলিয়ান ইনস্টিটিউট অফ স্পোর্টস। সালটা ১৯৮১। এই ইনস্টিটিউটের লক্ষ্যই ছিল, দেশের অ্যাথলিটদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তুলে আনা।


এমনকী চিন, যাদের অলিম্পিক্সে অংশগ্রহণ শুরু ব্রিটেন, এমনকী ভারতেরও পরে, দীর্ঘকালীন পরিকল্পনার ভিত্তিতে অলিম্পিক্সে সেরার জায়গা অর্জন করে নিয়েছে। রাতারাতি হয়নি। ২০২২ সাল পর্যন্ত পরিসংখ্যা ধরলে, গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক্সে মোট ১১ বার অংশ নিয়ে চিন একবার প্রথম, তিনবার দ্বিতীয় ও দুবার তৃতীয় স্থান পেয়েছে।


স্বাধীনতার পর থেকে ৭৫ বছরে ক্রীড়াক্ষেত্রে ভারত অনেক কিছুই অর্জন করেছে। অলিম্পিক্স হকিতে সোনা থেকে শুরু করে ক্রিকেটে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন, ব্যক্তিগত নৈপুণ্য রং ছড়িয়েছে। তাহলে গোটা বিশ্বক্রীড়ার মানচিত্রে প্রথম স্থানে উঠে আসতে ১৩৬ কোটির দেশের কী করণীয়?


তা নিয়েই আলোচনা করবেন দেশের তিন ক্রীড়ানক্ষত্র। কপিল দেব, লিয়েন্ডার পেজ ও জাফর ইকবাল। এবিপি নেটওয়ার্ক আয়োজিত, ওয়াইল্ড স্টোন পরিবেশিত 'আইডিয়াজ অফ ইন্ডিয়া' (ABP Ideas Of India) আলোচনাচক্রে। ক্রীড়াক্ষেত্রে ভারতের সাফল্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি ভবিষ্যতের দিকনির্দেশও করবেন তিন কিংবদন্তি। মুম্বইয়ে দু'দিনের আলোচনাচক্র আয়োজিত হবে ২৫-২৬ মার্চ। খেলাধুলো ছাড়াও তাতে বিভিন্ন ক্ষেত্রের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়েও আলোচনা হবে।