কলকাতা: শুক্রবার রাতে তিনি যখন খবরটা পান, গাড়ি চালাচ্ছিলেন। শুনে প্রথমে বিশ্বাসই হয়নি। মন ভারাক্রান্ত। চোখ ঝাপসা। তারপর একের পর এক ফোনে হুঁশ ফেরে।


ইউসুফ পাঠান (Yusuf Pathan)। শেন ওয়ার্নের (Shane Warne) মৃত্যু যাঁর কাছে প্রিয়জন হারানোর শোকের মতো। শুক্রবার যখন এবিপি লাইভের সঙ্গে কথা বললেন, গাড়ি চালাচ্ছিলেন। ইউসুফ বললেন, 'একটা কাজে একটু দূরে গিয়েছিলাম। বাড়ি ফিরছি। এখনও ঘণ্টা দুয়েক ড্রাইভ করতে হবে।'


ওয়ার্নের মৃত্যুর খবর পেয়েছেন? ইউসুফ বললেন, 'ফোনেই খবরটা পেলাম। প্রথমে বিশ্বাস হয়নি। তারপর একের পর এক ফোন পেয়ে বুঝলাম, খবরটা মিথ্যে নয়।'



সালটা ২০০৮। সদ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। দেশ জুড়ে টি-টোয়েন্টির উত্তাল হাওয়া। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ঠিক করল, শুরু হবে নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। আইপিএল (IPL)। আট দলের খেলা। রাজস্থান রয়্যালস (Rajasthan Royals) অধিনায়ক করল শেন ওয়ার্নকে। তারপরই শোরগোল। নতুন দল, আনকোরা ক্রিকেটার নিয়ে প্রথম আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হল ওয়ার্নের রাজস্থান। আর অধিনায়ক হিসাবে নতুন এক দিগন্ত উন্মোচন করে দিলেন ওয়ার্ন। যে দলের চমক ইউসুফ পাঠান। ব্যাট হাতে বিধ্বংসী। গ্যালারিতে একের পর এক ছক্কা ওড়ান। বল হাতেও ভীষণ কার্যকরী। যে কোনও দলের সম্পদ হয়ে উঠতে পারেন যেন।


গুগলির অ্যাকশনে লেগস্পিন! প্রতিপক্ষ স্পিনারকেও নির্দ্বিধায় পরামর্শ দিতেন ওয়ার্ন


আইপিএল চ্যাম্পিয়ন রাজস্থান রয়্যালসে ওয়ার্নের অন্যতম তুরুপের তাস ছিলেন সিনিয়র পাঠান। শুক্রবার প্রাক্তন অধিনায়কের প্রয়াণে কার্যত বাকরুদ্ধ ইউসুফ। বললেন, 'ভাবতে পারছি না ওয়ার্ন আর নেই। মাত্র ৫২ বছর বয়সে চলে গেল। আমি স্তব্ধবাক বললেও কম বলা হয়।' যোগ করলেন, 'ছক ভাঙা স্ট্র্যাটেজি, তরুণদের ওপর আস্থা, সতীর্থদের একশো শতাংশ সমর্থন আর তুখোড় গেমপ্ল্যান, ওয়ার্ন বোলার হিসাবে তো কিংবদন্তি ছিলেনই। ওর ক্রিকেটবুদ্ধিও ছিল প্রখর।'


"টি-টোয়েন্টিতে শুরুতে স্পিনার আনো, দেখিয়ে দিয়েছিলেন ওয়ার্ন"