ঢাকা: ম্যাচটি ছিল নিয়মরক্ষার। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ জয় আগেই নিশ্চিত করে ফেলেছে বাংলাদেশ। নিয়মরক্ষার ম্যাচে অবশ্য আফগানিস্তানের প্রাপ্তির ভাঁড়ার ভরা। কারণ, আইসিসি (ICC) ওয়ান ডে ক্রমপর্যায়ে চার নম্বরে উঠে এল আফগানিস্তান। তাদের সামনে বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড ও ভারত।


বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজ হেরে বসে থাকলেও, মান রক্ষার লড়াই আফগানদের নায়ক ২০ বছরের তরুণ। আফগানিস্তানের উইকেটকিপার-ব্যাটার রহমানুল্লাহ গুরবাজের সেঞ্চুরির হাত ধরেই ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে গেল আফগানিস্তান। সেই সঙ্গে নয়া নজির গড়ে ফেললেন রহমানুল্লাহ।


কেরিয়ারের প্রথম তিনটি ওয়ান ডে সিরিজের প্রতিটিতেই সেঞ্চুরি করে নয়া নজির গড়লেন আফগান কিপার-ব্যাটার। আর কোনও ক্রিকেটারের এই রেকর্ড নেই। সোমবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শতরান করা ছাড়াও এর আগের দু'টি ওয়ান ডে সিরিজে নেদারল্যান্ডস এবং আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধেও সেঞ্চুরিও করেছেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। বাংলাদেশের ঠিক আগের সিরিজেই নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ১০৩ রান করেছিলেন তিনি। আর আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে আবু ধাবিতে ১২৭ রান করেছিলেন রহমানুল্লাহ।


প্রথম দু'ম্যাচে হেরে সিরিজ আগেই খুইয়ে বসেছিল আফগানিস্তান। তবে নিয়মরক্ষার তৃতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে কিছুটা হলেও সম্মানরক্ষা করল আফগানিস্তান। সেই সঙ্গে আইসিসি মেনস ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ সুপার লিগের মূল্যবান ১০ পয়েন্টও সংগ্রহ করেন রশিদ খানরা (Rashid Khan)।


চট্টগ্রামে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। তারা ৪৬.৫ ওভারে ১৯২ রানে অল-আউট হয়ে যায়। লিটন দাস ওপেন করতে নেমে দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৮৬ রান করেন। এছাড়া শাকিব আল হাসান ৩০, মাহমুদুল্লাহ অপরাজিত ২৯ ও ক্যাপ্টেন তামিম ১১ রান করেন।


জবাবে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান ৪০.১ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১৯৩ রান তুলে নেয়। ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ১০৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। তিনি ১১০ বলের ইনিংসে ৭টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। এছাড়া রিয়াজ হাসান ৩৫ ও রহমত শাহ ৪৭ রান করেন। ৫৯ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেট ম্যাচ জেতে আফগানিস্তান। যদিও বাংলাদেশ সিরিজ জেতে ২-১ ব্যবধানে।