আফ্রিদি বেশ কিছুদিন ধরেই দলের বাইরে। তিনি অবসর নেওয়ার আগে বিদায়ী ম্যাচের আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু পিসিবি সেই আবেদন মানতে নারাজ। চুক্তির তালিকায় না রেখে তাঁকে স্পষ্ট বিদায়ের বার্তা দেওয়া হল। প্রাক্তন অধিনায়ককে বুঝিয়ে দেওয়া হল, তাঁকে আর খেলার সুযোগ দেওয়া হবে না।
অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের জন্য ২০১৪ সালে আজমলকে নির্বাসিত করে আইসিসি। এরপরেও তাঁকে চুক্তির আওতায় রেখেছিল পিসিবি। ২০১৫ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশে শেষবার জাতীয় দলের হয়ে খেলেছিলেন আজমল। এই অফস্পিনার সম্প্রতি দাবি করেন, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ভাল পারফরম্যান্সের সুবাদে তাঁর ফের জাতীয় দলে সুযোগ প্রাপ্য। এরপর পাকিস্তানের নির্বাচক প্রধান ইনজামাম উল হক বলেন, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে ভাল পারফরম্যান্স দেখাতে পারলে ফের জাতীয় দলে সুযোগ দেওয়া হতে পারে আজমলকে। কিন্তু পিসিবি-র পদক্ষেপ ঠিক উল্টো।
আফ্রিদি, আজমলের মতোই বাঁ হাতি পেসার জুনেইদ খানকেও চুক্তি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি অসাধারণ ফর্মে থাকা লেগস্পিনার ইয়াসির শাহকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত করা হয়েছে। মহম্মদ হাফিজ ও শোয়েব মালিকও ‘এ’ ক্যাটাগরিতে আছেন। আহমেদ শেহজাদ ও উমর আকমলকে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সুযোগ না পাওয়া বাঁ হাতি স্পিনার মহম্মদ আসগরকে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে।