রিও: এ এক অন্য দীপার গল্প। রিও প্যারালিম্পিক্সে এফ ৫৩ শটপাট ইভেন্টে রুপো জিতেছেন ভারতের দীপা মালিক। ছ’বারের চেষ্টায় তাঁর সবথেকে ভালো স্কোর ৪.৬১ মিটার। তাতেই রূপোর পদক জয় নিশ্চিত হয়ে য়ায় তাঁর। প্রথম স্থান অর্জন করে সোনা জেতেন বাহরিনের ফতেমা নেদাম(৪.৭৬ মি)। ৪.২৮ মি ছুঁড়ে তৃতীয় স্থানে গ্রিসের দিমিত্রা কোরোকিদা। ব্রোঞ্জ জিতেছেন তিনি।
লড়াইটা সোজা ছিল না দীপার কাছে। প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে প্রায় দু’দশক ধরে যুদ্ধ। প্যারাপ্লেজিক রোগে আক্রান্ত তিনি। অর্থাত কোমরের নীচ থেকে বাকি অংশ অসাড়। সতেরো বছর আগে স্পাইনাল টিউমার তাঁর হাঁটাচলা অসম্ভব করে দিয়েছিল। ৩১ বার তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছে। শরীরে সেলাই পড়েছে ১৮৩ টি। কিন্তু দীপাকে ‘অসম্ভব লড়াই’ চালিয়ে যাওয়া থেকে থামাতে পারেনি। সেনা অফিসারের স্ত্রী, দুই সন্তানের মা দীপাকে একইসঙ্গে সামলাতে হয় সংসার, খেলাধুলো, দুই বাচ্চার দায়িত্বও।
শুধু শটপাট নয়, দীপা অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসম্যান, সাঁতারু আবার জ্যাভলিন থ্রোয়ারও। জাতীয়, আন্তর্জাতিক স্তরে বহু প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন তিনি। ঝুলিতে রয়েছে বহু পদকও। জ্যাভলিন থ্রোয়ে ভেঙেছেন এশিয়ান রেকর্ড। তবে প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে খেলাধুলোর পাশাপাশি দীপার পছন্দের আরও নানা দিক রয়েছে। তিনি বাইক চালান, চ্যালেঞ্জ, অ্যাডভেঞ্চার ভালবাসেন। বিভিন্ন জায়গায় ছেলে-মেয়েদের উৎসাহ দেন, উদ্বুদ্ধ করেন তাঁর কথায়।
প্রসঙ্গত, এবছর প্যারালিম্পিক্সে প্রথম থেকেই সাফল্য আসছে ভারতীয় খেলোয়াড়দের। মারিয়াপ্পান থঙ্গভেলুর সোনা আর বরুণ সিংহ ভাটির ব্রোঞ্জ জয়ের পর তৃতীয় পদক জিতলেন দীপা। সঙ্গে প্রথম ভারতীয় মেয়ে হিসেবে প্যারালিম্পিক্সে পদক জেতার নজিরও গড়লেন তিনি।