কলকাতা: ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বিরল এক রেকর্ড গড়ে ফেললেন আজাজ পটেল (Ajaz Patel)। নিউজিল্যান্ডের বাঁহাতি স্পিনার এক ইনিংসে নিলেন ১০ উইকেট। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে তৃতীয় বোলার হিসাবে। জিম লেকার ও অনিল কুম্বলের (Anil Kumble) পর।


কুম্বলের ২২ বছর পর অভিজাত এই ক্লাবে প্রবেশ করলেন নিউজিল্যান্ডের বাঁহাতি স্পিনার। আজাজের সেই কৃতিত্বকে কুর্নিশ করলেও, কুম্বলের নজিরকে এগিয়ে রাখছেন তাঁর প্রাক্তন সতীর্থরা। যাঁরা ২২ বছর আগে ফিরোজ শাহ কোটলায় ইতিহাসের সাক্ষী ছিলেন।


কেন?


'কুম্বলে ১০ উইকেট নিয়েছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথের উত্তাপ আলাদা করে তো আর বলার দরকার হয় না। এই দুই দেশের ম্যাচ নিয়ে এত হইচই শুরু হয়ে যায় যে, ক্রিকেটারেরাও ম্যাচ নিয়ে বেশ চিন্তাভাবনা করে। সমস্ত চাপ জয় করে কুম্বলে সেদিন যে বোলিংটা করেছিল, তা এক কথায় অনবদ্য। ভারত-পাক ম্যাচের প্রবল চাপ সামলে নিজের সেরা পারফরম্যান্সটা বার করে এনেছিল,' বেঙ্গালুরু থেকে মোবাইল ফোনে বলছিলেন বেঙ্কটেশ প্রসাদ। সেই প্রসাদ, যিনি নিজে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অনেক স্মরণীয় ম্যাচ খেলেছেন। ১৯৯৬ বিশ্বকাপে আমির সোহেলের সঙ্গে তাঁর দ্বৈরথ ক্রিকেটের ইতিহাসে পাকাপাকি জায়গা করে নিয়েছে।


প্রসাদ যোগ করলেন, 'পাকিস্তানের সেই দলের ব্যাটিংটা ভাবুন। সঈদ আনোয়ার, শাহিদ আফ্রিদি, ইনজামাম উল হক, মহম্মদ ইউসুফ, সেলিম মালিক, ইজাজ আমেদ, মঈন খান, কে ছিল না। এইরকম একটা ব্যাটিং লাইন আপকে ঘায়েল করাটা অনেক বড় কৃতিত্বের।' প্রসাদ আরও বললেন, 'আজাজের কৃতিত্ব নিঃসন্দেহে দুর্দান্ত। তবে কুম্বলের কীর্তি ধারে ও ভারে একটু এগিয়ে থাকবে।'


আরও পড়ুন: ওরা বাইরে বল করছিল, আমি টানা স্টাম্পে রেখে গিয়েছি, সাফল্যের রহস্য ফাঁস করলেন সিরাজ


একই মত নয়ন মোঙ্গিয়ার। ১৯৯৯ সালের সেই ঐতিহাসিক সিরিজে মহম্মদ আজহারউদ্দিনের দলে যিনি উইকেটকিপার ছিলেন। কুম্বলের বলে আফ্রিদি তাঁর হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফিরেছিলেন। মোঙ্গিয়া বললেন, 'টেস্টে এক ইনিংসে দশ উইকেট বিরাট ব্যাপার। আজাজ দারুণ কীর্তি গড়েছে। তবে কুম্বলেকে যে ব্যাটিং লাইন আপের বিরুদ্ধে কোটলা টেস্টে বল করতে হয়েছিল, ভয়াবহ। বিশ্বের অন্যতম সেরা। ইনজামাম থেকে শুরু করে সেলিম মালিক, কে ছিল না!' মোঙ্গিয়া যোগ করলেন, 'আজাজের নাম ইতিহাসে লেখা থাকবে। ওর কৃতিত্বকে ছোট করছি না। ওকে অভিনন্দন জানাই। তবে কুম্বলের দশ উইকেটকে এগিয়ে রাখব।'