একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ২০১০ সালে পাকিস্তানের কুখ্যাত ইংল্যান্ড সফরের বিষয়ে রজ্জাক বলেছেন, ‘আফ্রিদি আমাকে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে বলে। এরপরেই আমি চড় মারার আওয়াজ পাই। তারপর আমির গোটা ঘটনা বলে। আমার মনে হয়, নিজেদের দক্ষতা প্রমাণ করার জন্য আইসিসি-র দ্বারস্থ হওয়ার বদলে পিসিবি-র উচিত ছিল ওই তিন খেলোয়াড়কে (আমির, বাট ও মহম্মদ আসিফ) দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিয়ে এক বছরের জন্য নির্বাসিত করা। সেটা না করে পিসিবি সারা বিশ্বে পাকিস্তানের ক্রিকেটের ভাবমূর্তির ক্ষতি করে।’
বাটের বিষয়ে রজ্জাক বলেছেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরেই সলমন বাট ইচ্ছাকৃতভাবে আউট হয়ে যাচ্ছিল, রান করছিল না। আমার সন্দেহ হওয়ায় আফ্রিদিকে সে কথা বলি। কিন্তু ও বলে, এটা আমার ভুল ধারণা। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে টি-২০ বিশ্বকাপের একটি ম্যাচে বাটের সঙ্গে ব্যাটিং করার সময় আমি স্পষ্ট বুঝতে পারি, ও ইচ্ছাকৃতভাবে দলকে ডোবাচ্ছে। আমি ওকে বলি এক রান নিয়ে আমাকে স্ট্রাইক দিতে। কিন্তু ও আমার কথা না শুনে প্রতি ওভারে দু-তিনটি ডট বল খেলে তারপর আমাকে স্ট্রাইক দিতে থাকে। এর ফলে আমি চাপে পড়ে গিয়ে আউট হয়ে যাই।’