দলীপ ট্রফির ফাইনাল দেখতে গিয়েছেন বোর্ড সভাপতি। সেখানেই তিনি প্রাক্তন সভাপতির বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। অনুরাগ বলেছেন, ‘আইসিসি চেয়ারম্যানের মন্তব্যে আমি হতাশ কি না সেটা বড় কথা নয়। বোর্ডের সদস্যরা কী মনে করছেন, সভাপতি হিসেবে সেটা জানানো আমার দায়িত্ব। যখন সভাপতি হিসেবে মনোহরকে সবচেয়ে বেশি দরকার ছিল (সুপ্রিম কোর্টে আইনি লড়াইয়ের সময়) সেই সময়ই তিনি বোর্ড ছেড়ে চলে যান। ঠিক যেন অন্যদের আগেই স্বয়ং ক্যাপ্টেন ডুবন্ত জাহাজ ছেড়ে চলে গিয়েছেন।’
মনোহর নিজের স্বার্থে বোর্ড সভাপতি থাকার সময় আইসিসি-র কোনও সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেননি বলেও দাবি করেছেন অনুরাগ। তিনি বলেছেন, ‘যখন আইসিসি-র সংবিধান বদল করে তিনটি প্রধান দেশের ক্ষমতা অবলুপ্ত করা হয় তখন বিসিসিআই সভাপতি ছিলেন মনোহর। তাঁর উচিত ছিল অন্য দেশগুলির সঙ্গে কথা বলে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা। কিন্তু তিনি আইসিসি সভাপতি হতে চাইছিলেন। তাই কোনও কথাই বলেননি।’
সম্প্রতি আইসিসি টু-টিয়ার টেস্ট ফর্ম্যাট চালু করার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু বিসিসিআই-এর আপত্তিতে সেই প্রস্তাব ভেস্তে গিয়েছে। আগামী বছর ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে চলা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তাবিত বাজেট নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বোর্ড।
অনুরাগ বলেছেন, আইসিসি-র সদস্য হিসেবে বিসিসিআই-এর দায়িত্ব দুর্বল দেশগুলির পাশে থাকা। সঙ্গত কারণেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচ সম্প্রচারের বাজেট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। লোঢা কমিটির সুপারিশ কার্যকর করা নিয়ে তাঁরা যে সমস্যায় পড়েছেন, সেক্ষেত্রেও আইসিসি তাঁদের কোনওরকম সাহায্য করছে না বলেও দাবি করেছেন অনুরাগ।